শীতের দিনে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা। পরপর ছয় মারার অপরাধে এক যুবককে রাস্তায় ঘিরে ধরে ধারালো অস্ত্রের কোপ বসাল বিরোধী দলের কয়েকজন যুবক। ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে আক্রান্ত। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদে কান্দি থানার শাসপাড়া-নামুপাড়া এলাকায়। আক্রান্ত যুবকের নাম তাশিম শেখ। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। এই ঘটনায় তার পরিবারের তরফে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেঙ্গালুরুর পিজিতে বহিরাগতদের তাণ্ডব! বেধড়ক মারধর পড়ুয়াদের, অভিযোগ কার দিকে?
কী ঘটেছিল?
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রের খবর, শীতের মরশুমে গত বুধবার এলাকায় একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়েছিল। তাতে বেশ কয়েকটি দল অংশগ্রহণ করেছিল। তবে তার মধ্যে দুটি দলের খেলা বেশ জমজমাট হয়ে উঠেছিল। একটি ওভার ঘিরে দুই দলের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। তাশিম পর পর তিন বলে তিন ছক্কা হাঁকান। তখন তাকে বোলার এবং সঙ্গীরা স্লেজিং করেন। সেই থেকে ঝামেলা শুরু হয়। দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। তবে সেই সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলেও তাশিমের উপর ক্ষোভ কমেনি বিপক্ষ দলের যুবকদের। শুক্রবার ফের এনিয়ে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়। (আরও পড়ুন: 'সরকার ডিএ দেবে না…', সামনে বিস্ফোরক দাবি, ষষ্ঠ বেতন কমিশনের রিপোর্টে বলা…)
আরও পড়ুন: কলকাতা থেকে চালু নয়া আন্তর্জাতিক রুটের উড়ান, জানুন টাইমিং ও ভাড়ার বিশদ
জানা যাচ্ছে, তাশিম পেশায় একজন টোটো চালক। শুক্রবার সকালে রোজকার মতো টোটো নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। সেই সময় রাস্তায় তাকে ঘিরে ধরে বিপক্ষ দলের কয়েকজন যুবক। তাদের সঙ্গে প্রথমে তাশিমের কথা কটাকাটি শুরু হয়। এরপর তারা সকলে মিলে তাশিমকে মারধর করতে শুরু করেন। এখানেই না থেমে অভিযুক্ত যুবকরা তাশিমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে শুরু করে। ঘটনায় রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তাশিম। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। (আরও পড়ুন: আজ বৃষ্টি হবে বাংলার ৬ জেলায়, এরপর ফের ঠান্ডা কবে বাড়বে কলকাতায়?)
আক্রান্ত যুবক বলেন, ‘কামারপাড়ার সঙ্গে খেলা ছিল। পরপর ছয় মারার ফলে আমার ওপর তাদের রাগ ছিল। এদিন সকালে যখন টোটো নিয়ে বেরিয়েছিলাম তখন তারা কয়েকজন মিলে বাইকে করে আমার পিছু ধাওয়া করে। মোট পাঁচজন ছিল। তারা আমাকে ধরে ফেলে। দুজন আমাকে ধরে থাকে এবং তিনজন মারধর করে। এদের মধ্যে একজনের হাতে ভোজালি ছিল। আর একজনের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। আমি ভোজালির আঘাত কোনওভাবে আটকাতে পারলেও বন্দুক দেখে পাশের বাড়িতে ঢুকে যায়। তারা সেখান থেকে আমাকে বের করে আনার চেষ্টা করে মারধর করে। তখনই আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।’ (আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে কি বকেয়া ডিএ মামলার শুনানি ফের পিছিয়ে যাবে? সামনে এল বড় আপডেট)