পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরেই আপত্তিকর পোস্টার পড়েছিল বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নোটিশ বোর্ডে। সেই পোস্টারকে ঘিরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছিলেন কর্তৃপক্ষ। যদিও কে বা কারা পোস্টার লাগিয়েছিল তা এখনও শনাক্ত করা যায়নি। নদিয়ার হরিণঘাটা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেই পোস্টারকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। সেই ঘটনার পর ক্যাম্পাস চত্বরে নজরদারি বাড়াতে তৎপর হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো ক্যাম্পাসকে সিসিটিভির নজরদারিতে মধ্যে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। সিদ্ধান্ত হয়েছে এখনও পর্যন্ত ক্যাম্পাসের যে সমস্ত জায়গা সিসিটিভি নজরদারির বাইরে রয়েছে সেগুলি সিসিটিভির নজরদারির অধীনে আনা হবে।
আরও পড়ুন: বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর বিতর্কিত পোস্টার, সম্প্রীতি রক্ষায় তৃণমূলের শান্তি মিছিল
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অশোক কুমার পাত্র বলেন, কৃষি অনুষদ ভবনে সিসিটিভি ক্যামেরার অভাব ছিল। যার ফলে নোটিশ বোর্ডে আপত্তিকর পোস্টারটি সাঁটানো ব্যক্তিদের শনাক্ত করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।কলকাতা থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে নদিয়ার মোহনপুর ক্যাম্পাসে অবস্থিত কৃষি, উদ্যানতত্ত্ব এবং কৃষি প্রকৌশল- এই তিনটি অনুষদের ১২টি হোস্টেল, গেট এবং তিনটি ভবন সিসিটিভি নজরদারির আওতায় আনা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। নোটিশ বোর্ডের উপরে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হবে। সোমবার ডিন এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে একটি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ১৫ মে-র মধ্যে ক্যামেরাগুলি বসাতে হবে এবং চালু করতে হবে।
গত শুক্রবার বিশ্ব বিদ্যালয়ের ডিন অনুপম পারিয়ারি বলেছিলেন, তহবিলের অভাবে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনে দেরি হচ্ছে। এরজন্য তহবিল সংগ্রহ করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি আবাসিক ক্যাম্পাস এবং প্রায় ২,০০০ পড়ুয়া পড়াশোনা করেন। তারইমধ্যে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর বিদ্বেষমূলক পোস্টার লাগানো হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নোটিশ বোর্ডে। যেহেতু এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের পড়ুয়া রয়েছেন তাই এই পোস্টার নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল।
এই পোস্টার সামনে আসার পরেই উপাচার্য হস্টেলে গিয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি জানান, পড়ুয়ারা কোনও হুমকি বোধ করছেন না। পরে সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে উপাচার্য বলেন, ‘এই ধরনের কর্মকাণ্ড শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাদান ও গবেষণার পরিবেশকেই নষ্ট করে না, বরং একটি প্রতিষ্ঠানের মর্যাদার জন্যও হুমকি। তিনি মুক্ত, নির্ভীক এবং শান্তিপূর্ণ পড়াশোনার পরিবেশ নিশ্চিত করার বার্তা দিয়েছিলেন।