এবার পাহাড়ের তিন পুরসভায় ভোট নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কালিম্পং, কার্শিয়াং এবং মিরিকে পুরসভার ভোট নিয়ে রাজ্য সরকারকে কলকাতা হাইকোর্ট হলফনামা দিতে বলেছে। তার পর থেকেই দার্জিলিংয়ে আবার ভোটের উত্তাপ দেখা দিতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই এই তিন পুরসভার ভোট নিয়ে রাজ্য সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছে কলকাতা হাইকোর্ট। আর তাই পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের প্রধান সচিবকে ৬ সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। তার পরেই পুরভোট নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
সামনেই দুর্গাপুজো। তারপরই উৎসবের মরশুম চালু হয়ে যাবে। দীপাবলি, ভাইফোঁটা, ছটপুজো–সহ বড়দিন পর্যন্ত উৎসব চলবে। তাই ২০২৫ সালের শুরুতে এই তিন পুরসভার ভোট করানো নিয়ে প্রাথমিকভাবে আলোচনা চলছে। আরজি কর হাসপাতালের মামলা কোনদিকে গড়ায় সেদিকেও লক্ষ্য রেখেছে রাজ্য সরকার। সেটা দেখার পরে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে ঠিক হয়েছে। জিটিএ প্রধান অনীত থাপা বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি। তবে জিটিএ’র পক্ষ থেকে যে খবর মিলেছে সেটা হল, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে তিন পুরসভার ভোট প্রক্রিয়া চালু করতে হবে সেটা পরিষ্কার।
আরও পড়ুন: পণের দাবি না মেটায় স্ত্রীকে খুন করল স্বামী, বাপেরবাড়ি থেকে নিয়ে এসে নির্মম অত্যাচার উত্তরপ্রদেশে
কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের রায় ও রাজ্য পুরসভা আইনে নির্বাচন ঘোষণা করতে হবে রাজ্য সরকাররকে। কালিম্পং, কার্শিয়াং ও মিরিক পুরসভায় নির্বাচন চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। তার প্রেক্ষিতেই রাজ্য সরকারকে এই নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। ২০১৭ সালে মে মাসে শেষবার এই তিন পুরসভার ভোট হয়। ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে এই তিন পুরসভার মেয়াদ শেষ হয়। তখন থেকেই পুরসভাগুলি চালাচ্ছিলেন রাজ্যের নিযুক্ত প্রশাসকরা। দীর্ঘদিন এভাবে চলায় মামলা করা হয়। নির্বাচিত কাউন্সিলর না থাকায় সাধারণ মানুষ ভুগছেন। নির্বাচিত সদস্য না থাকার জন্য উন্নয়নের কাজ থমকে গিয়েছে বলে অভিযোগ।