মার্চ মাস পড়েই গিয়েছে। আর হাতে বেশি সময় নেই। তাই ঝড়ের গতিতে কাজ চলছে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের। সমুদ্রসৈকত তীরবর্তী জগন্নাথ মন্দির গড়ে তোলার কাজ এখন মধ্যগগনে। দ্রুত কাজ শেষ করতে হবে। কারণ একদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বোধন করতে আসবেন। অপরদিকে এই জগন্নাথ মন্দির গড়ে উঠলে তা পর্যটকদের কাছে বড় আকর্ষণের বিষয় হবে। বাংলায় পর্যটনের একটা বড় দরজা খুলে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই আবহে এবার দিঘায় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের প্রস্তুতি নিয়ে কোমর বেঁধে কাজ করা হচ্ছে। তাই এখানের মাঙ্গলিক রীতি নিয়ে বৈঠক এবং মন্দির উদ্বোধনের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখলেন পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রাজেশ দৈতাপতি মহারাজ।
এদিকে এই ঘটনা ঘটতেই সকলের মনে প্রশ্ন, কবে সাধারণের জন্য খুলবে দ্বার? কবে হবে জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন? মুখ্যমন্ত্রী কবে আসবেন? এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়ে ছিলেন, আগামী ৩০ এপ্রিল অর্থাৎ অক্ষয় তৃতীয়ার দিন দিঘায় নবনির্মিত জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন করবেন। তার আগে এই সৈকতনরীতে এসে পৌঁছবেন মুখ্যমন্ত্রী। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই রাজ্য এবং জেলার অফিসাররা দফায় দফায় পরিদর্শন করেছেন। একের পর এক বৈঠক করে চলেছেন। এই আবহে শুক্রবার দিঘার জগন্নাথ মন্দির পরিদর্শন করতে আসেন পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের মুখ্য দৈতাপতি। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি, রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি এবং অন্যান্যরা।
আরও পড়ুন: চোর–পোষ্যের তুমুল লড়াই ক্যানিংয়ে, কুকুরকে কামড় দিল মানুষ, গ্রেফতার করল পুলিশ
অন্যদিকে এখানে পা রেখেই পুরীর মন্দিরের মুখ্য দৈতাপতি দেখতে পান জগন্নাথ মন্দির নির্মাণের পাশাপাশি কেমন উন্নয়ন হয়েছে। রাস্তাঘাট, আলো, পরিকাঠামো, পর্যটকদের জন্য ব্যবস্থা এবং মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণ–সহ শুদ্ধ আচারের ব্যবস্থা। এই বিষয়ে জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, ‘পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের মুখ্য দৈতাপতি মহারাজ এসেছেন। তিনি সমগ্র মন্দির প্রাঙ্গণ পরিদর্শন করেছেন। মন্দিরের মাঙ্গলিক রীতিনীতি নিয়ে তাঁর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।’ এখন জগন্নাথ মন্দিরের পাশে মাসির বাড়ি, স্নানের ঘাট, রাস্তা, আলো–সহ উন্নয়নের কাজ ঝড়ের গতিতে চলছে। মার্চ মাসের মধ্যেই সবটা শেষ করার টার্গেট নেওয়া হয়েছে।