খড়দায় এক বিধবা মহিলাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। চার যুবক মিলে ওই মহিলাকে গণধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় তুমুল আলোড়ন পড়ে গিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার খড়দা এলাকায়। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে অভিযোগ দায়ের হতেই পুলিশ তৎপরতার সঙ্গে অ্যাকশন নেয় এবং ইতিমধ্যেই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি দু’জন এখন পলাতকꦯ। তবে এই গণধর্ষণের অভিযোগ তুলে নিতে বিধবা মহিলাকে পাল্টা চাপ দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। ওই বিধবা মহিলার দুই মেয়ে রয়েছে। তাদের দিকে ক🀅ুনজর ছিল এই চার যুবকের। তাই বিধবা মহিলাকে তাঁর দুই মেয়েকে তাদের হাতে তুলে দিতে চাপ দেওয়া হয়। সেটাই না মানায় বিধবা মহিলাকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।
এদিকে নির্যাতিতা মহিলার পুলিশকে দেওয়া বয়ান অনুযায়ী, বন্দুক হাতে ওই যুবকরা বাড়িতে আসে। তারপর তারা দাবি করে, ঘরের মেয়ে দুটোকে তাদের হাতে তুলে দিতে হবে। সেটা কোনওভ☂াবেই মেনে নেননি বিধবা মা। কাতর অনুরোধে করেছিলেন চার যুবকের কাছে। কিন্তু তারা মেয়েদের হাত ধরা টানাটানি শুরু করে। একজনের পোশাক ছিঁড়েও দেয়। তখনই এসবের প্রতিবাদ করা হয়🐷। তার জেরেই তাঁকে আমবাগানে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয়। আর এই ঘটনা জানাজানি হতেই ব্যাপক আলোড়ন পড়ে যায় খড়দার পাতুলিয়া এলাকায়।
আরও পড়ুন: ধারাল অস্ত্রের কোপে রক্তাক্ত যুবকের শরীর, কলকাতার প্রাণকেন্দ্রে ভয়ঙ্কর কাণ্ড, তদন্তে পুলিশ
অন্যদিকে এই ঘটনার পর পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা মা। তা জানতে পেরে আবার বন্দুক হাতে ওই চার যুবক এখন অভিযোগ তোলার জন্য চাপ দিচ্ছে বলে অভিযোগ। এই অভিযোগের ভিত্তিতে গোটা ঘটনার তদন্তে নেমে রহড়া থানার পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। তবে বাকি দু’জন পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। চারজন তাঁকে টেনে আমবাগানের ভিতরে নিয়ে যায় এবং সেখানেই গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। আমবাগানের ভিဣতর থেকেই ওই বিধবা মহিলাকে প্রায় অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এখন দোষীদের শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন গ্রামবাসীরা।
এছাড়া পাতুলিয়া পঞ্চায়েতের ডাঙ্গা ডিঙলা এলাকার বাসিন্দা ওই বিধবা মহিলা এবং দুই মেয়েকে নিয়ে বসবাস করেন। আর এলাকার ওই চার যুবক অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত। বাড়িতে ঢুকে পুরুষ মানুষ না থাকার সুযোগ নিয়ে মেয়েদের তাদের হাতে তুলে দিতে বলে তারা। এমনকী অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করতে থাকে বলে অভিযোগ। এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার জেরেই এই কঠিন নির্যাতন বিধবা মহিলার উপর নামিয়ে আনা হয় বলে অভিযোগ। তবে পড়শিদের সাহসে ভর করে রহড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা। এই গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করে পাতুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য সাফিয়ার রহমান বলেন, ‘আমাদের এলাকায় এই ধরনের ঘটনা 😼আগে কখনও ঘ๊টেনি। আমরা শিহরিত। পুলিশ দ্রুত বাকি অভিযুক্তদের খুঁজে গ্রেফতার করুক।’