সোনা পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়ে গেল এক বাংলাদেশের যুবতী। বিএসএফের যাতে সন্দেহ না হয়꧑ তার জন্য বৈধ পাসপোর্ট দেখিয়েই পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ঢুকছিল ওই যুবতী। চেকিং পয়েন্টে গিয়ে দাঁড়াবার পর তার ব্যাগ তল্লাশি কিছু পাওয়া যায়নি। তবে যখন বিএসএফের মহিলা জওয়ানরা শরীরে মেটাল ডিটেক্টর ছোঁয়াল তখনই বেজে উঠল বিপ শব্দ। এমনকী সঙ্গে সঙ্গে জ্বলে উঠল লাল আলো। ব্যস, সন্দেহের তির ধেয়ে এল ওই বাংলাদেশের যুবতীর কাছে। বিএসএফের মহিলা জ♏ওয়ানদের কাছে অবশেষে গোপনাঙ্গে সোনা নিয়ে পাচারের কথা স্বীকার করে ওই বাংলাদেশের যুবতী।
কী আছে যুবতীর শরীরে? লাল আলো ও মেটাল ডিটেক্টরের বিপ শব্দ বিএসএফ মহিলা জওয়ানদের মনে এই প্রশ্নই ওঠে। ততক্ষণে বাংলাদেশের ওই যুবতী বুঝতে পেরে যায় সে ধরা পড়ে গিয়েছে। তাই ওই যুবতীকে জেরা করার আগেই সে স্বীকার করে নেয় নিজের অপরাধের কথা। সে মহিলা বিএসএফ জওয়ানদের জানায়, নিজের শরীরের ভিতরে সে সোনার বিস্কুট লুকিয়ে ওপার থেকে এপারে এসেছে। সোনার বিস্কুট পাচার করতেই বাংলাদেশ থেকে ভারতে ঢুকতে চাꦏইছিল সে। অবশেষে ওই যুবতীর শরীর থেকে বিএসএফ উদ্ধার করেছে ২৯ লক্ষ টাকার চারটি সোনার বিস্কুট༒।
এদিকে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। বিএসএফ সূত্রে খবর, যুবতীর গোপনাঙ্গ থেকে সোনার বিস্কুট উদ্ধারের ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার। আর ধৃত বাংলাদেশি যুবতীর নাম নাজনীন নাহার। তবে সে বিবাহিত যুবতী। রাজধানী ঢাকায়💜 ভুঁইয়াপাড়ার খিলগাঁওয়ে ওই যুবতী বধূর বাড়ি। বিএসএফের জেরা সময় সে জানিয়েছে, বাংলাদেশের বেনাপোল বাজারে আবিদুলের কাছ থেকে সে ওই সোনা নিয়ে এদেশের কলকাতায় নতুন বাজারে একজনের হাতে পাচার করার কথা ছিল। এই সোনা পাচার করতে পারলে ৬ হাজার টাকা কমিশন আসত ওই যুবতীর▨ হাতে।
আরও পড়ুন: চোপড়ায় নিহত শিশ🐲ুদের পরিবারকে তিন লক্ষ টাকা,✅ অভিষেকের নির্দেশে দিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব
অন্যদিকে অ্যাসাইনমেন্ট শেষ পর্যন্ত করতে পারল না ওই যুবতী। দু’দেশের সীমান্তেই বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে যায় নাজনীন। ওই যুবতী গোপনাঙ্গে লুকিয়ে রেখেছিল সোনার বিস্কুটগুলি। আগেও সে ভারত থেকে চকোলেট, বিস্কুট–সহ নানা জিনিস পাচার করেছে বাংলাদেশে। এবার সেটা সম্ভব হবে বলে মনে করেছিল সে। যদিও তা বাস্তবায়িত হল না। আবার ওইদিনই পেট্রাপোল সীমান্তে সাড়ে ৩ লক্ষ বাংলাদেশি টাকা–সহ একজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে বিএসএফ। টাকা উৎসের সদুত্তর দিতে পারেনি অভিযুক্ত। ভারতীয় মুদ্রায় ওই টাকার অঙ্ক ২ লক্ষ ৬৩ হাজার ৩৭৭ টাকা। বিএসএফ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম উত্তম দে। আবার একইদিনে স্বরূপনগরের আমুদিয়া সীমান্তে ৪০টি পাখি–সহ এক বাংলাদেশিꦿকে ধরেছে বিএসএফ। অভিযুক্তের নাম ওহিদুল শেখ।