সমতলে যখন প্রচন্ড গরম। তখন ওপরের ছবিটা দেখে কেমন মনে হচ্ছে? এটা সান্দাকফুর মার্চ মাসের ছবি। পাহাড়ের ১১৯২৯ ফুট উচ্চতায় সান্দাকফু। সেখান থেকে ২১ কিমি দূরত্বে ফালুট। উচ্চতা ১১,৮১১ ফুট। এবার সেই সান্দাকফু, ফালুটে পর্যটকদের স্বাচ্ছন্দ্য আরও বাড়াতে চাইছে সরকার।দার্জিলিং পর্যটনে এবার নয়া দিশা। পর্যটকদের সুবিধার্থে এবার বড় উদ্যোগ রাজ্য সরকারের। মূলত সান্দাকফু ও ফালুটের জন্য এবার নয়া পরিকল্পনা রাজ্য সরকারের। এদিকে দার্জিলিং বেড়াতে গিয়ে অনেকেই চান একবার সান্দাকফু ঘুরে আসতে। অনেকে আবার সাত পাঁচ ভেবে যেতে চান না। একে তো দুর্গম রাস্তা। তার উপর আবার অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে, সান্দাকফু ও ফালুটে গেলে থাকবেন কোথায়? তবে অ্য়াডভেঞ্জার প্রিয় পর্যটকরা বার বার গিয়েছেন সান্দাকফুতে। অনেকের কাছে এটা প্রিয় ট্রেকিং রুট।সূত্রের খবর, গত ২৩ মে দার্জিলিংয়ের পর্যটনের পরিকাঠামো উন্নতির জন্য স্টেট ট্যুরিজম প্রমোশন টাস্ক ফোর্সের মিটিং অনুষ্ঠিত হয় নবান্নে। সেখানে মুখ্য সচিব নিজে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে সান্দাকফু ও ফালুট ভ্রমণ নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। মূলত এই রুটকে কীভাবে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা যায় তা নিয়েও আলোচনা হয়। এই রুটে একাধিক এসএসবি চেক পয়েন্ট রয়েছে। সেখানে বিদেশি পর্যটকদের চেকিংয়ের প্রক্রিয়া যাতে আরও পর্যটক বান্ধব হয় সেব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে। ইকো ট্যুরিজমের চেয়ারম্যান রাজ বসুও এনিয়ে মতামত দিয়েছেন।এদিকে দুর্গম পাহাড়ি পথে বিদ্যুতের কিছুটা সমস্যা রয়েছে। সেক্ষেত্রে কোনও একটি উপযুক্ত জায়গায় যদি পাওয়ার সাব স্টেশন করা যায় তবে সমস্য়া অনেকটা মিটতে পারে। সেকারণে বিদ্যুৎ দফতরের সঙ্গে এব্যাপারে আলোচনা করা হবে।সেই সঙ্গে পর্যটকদের থাকা খাওয়ার ব্যাপারেও সুবন্দোবস্ত করার ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে। সূত্রের খবর, সান্দাকফু, ফালুট, গৈরিবাসে তাঁবুতে থাকার ব্যবস্থা করতে পারে ওয়েস্ট বেঙ্গল ফরেস্ট ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড। তবে সংলগ্ন এলাকায় যেমন টোংলু, চিত্রেতে কিছু কটেজ তৈরির চিন্তাভাবনা রয়েছে। রাস্তা মেরামতও হতে পারে।