একদিকে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের জমি নিয়ে জটিলতায় জড়িয়েছেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। অন্যদিকে আশ্রমিক, প্রাক্তনীদের বুড়ো খোকা, অশিক্ষিত বলে বিড়ম্বনায় পড়েছেন তিনি নিজেই। এই পরিস্থিতির মধ্যেও কলকাতা হাইকোর্টে জোর ধাক্কা খেলেন উপাচার্য। কারণ তাঁকে সিঙ্গল বেঞ্চ জরিমানা করেছিল। সেটাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি গিয়েছিলেন ডিভিশন বেঞ্চে। কিন্তু সেখানেও বহাল রইল এক লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ।
বেশ কিছুদিন আগে একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর চাইল্ড কেয়ারের জন্য ছুটির আবেদন করেন। সেটা মঞ্জুর হয়। ২০২১ সালে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ সেই ছুটির অনুমোদন দেয়। কিন্তু হঠাৎ একবছর পর বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী অধ্যাপক দেবতোষ সিনহাকে চিঠি দিয়ে জানতে চান, কেন তিনি ওই অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসরের ছুটি মঞ্জুরের অনুমোদন তিনি করেছিলেন? অবিলম্বে উপাচার্যের এই নির্দেশ বাতিল করা হোক। তখনই ওই চিঠিকে নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অধ্যাপক দেবতোষ সিনহা।
এই চিঠি আদালতে পেশ করতেই বিপাকে পড়ে যান উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। কারণ সিঙ্গল বেঞ্চ রায় দেয়, উপাচার্যকে ওই চিঠি বাতিল করতে হবে এবং ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। তখন এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করা হয়। আজ, সোমবার তার শুনানি ছিল। সেখানে সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কেই বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ। ফলে চাপ বাড়ল উপাচার্যের উপর।