আরও এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার মাঝরাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে তা আছড়ে পড়তে পারে ওড়িশা উপকূলে। ল্যান্ডফল হতে পারে ধামরা ও ভিতরকণিকার মাঝামাঝি কোনও স্থানে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাংলার উপকূলবর্তী দুই জেলা পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং সংলগ্ন জেলাগুলিতে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা থাকছে। প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা কলকাতাতেও। তবে যদি কারও বাড়িতে বা এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে যায় তাহলে কী করবেন? এই প্রশ্ন এখন সকলের মনেই জেগে উঠেছে। বিদ্যুতের সংযোগ বিষয়ক সমস্যা সামলাতেও বিশেষ ব্যবস্থা রাখছে বিদ্যুৎ দফতর।
এদিকে দুর্যোগের আশঙ্কায় আগাম সতর্কতা নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে খোলা আছে কন্ট্রোল রুম। নবান্নেও খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। সেখান থেকে যোগাযোগ রাখা হবে জেলাগুলিতে। বিপদ যাতে না ঘটে তার জন্য সব ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র জেরে গাছ ভেঙে পড়া, বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়া, তার ছিঁড়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটে। তখন বিপাকে পড়েন নাগরিকরা। লোডশেডিং হয়ে যায় বাড়িঘর, রাস্তাঘাট। প্রশাসন সূত্রে খবর, ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবের জেরে মানুষ যাতে অসুবিধায় না পড়ে তার জন্য প্রস্তুত রয়েছে কলকাতা পুলিশ, পুরসভা, এনডিআরএফ, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর চারটি দলকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মেট্রো পরিষেবা সমস্ত রুটেই স্বাভাবিক থাকবে, ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’কে চ্যালেঞ্জ পাতালপথে
অন্যদিকে নবান্নের হেল্পলাইন নম্বর (০৩৩) ২২১৪৩৫২৬/১০৭০। জেলাগুলিতেও চালু করা হয়েছে হেল্পলাইন। আজ রাতে নবান্নে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী। এই আবহে অতীতের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাচ্ছে বেসরকারি বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা সিইএসসি এবং সরকারি বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা ডব্লিউবিএসইডিসিএল। এবার বিদ্যুৎ দফতর এবং সিইএসসি’র অফিসারদের সঙ্গে আজ, বৃহস্পতিবার বৈঠক করেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এই দুর্যোগের সময় কলকাতা–সহ প্রত্যেকটি জেলায় পর্যাপ্ত কর্মী ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম মজুত রাখার নির্দেশ দেন বিদ্যুৎমন্ত্রী।