মিশন দিল্লি। এই নিয়েই বাড়ির কাউকে কিছু না জানিয়ে নয়াদিল্লি পাড়ি দিয়েছিলেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়। কিন্তু তাঁর মিশন সফল হল না। তাই ১২ দিনের মাথায় বুকভরা শূন্যতা নিয়েই ফিরছেন মুকুল রায়। সেখানে গিয়ে সংবাদমাধ্যমে তিনি নানা কথা বললেও বিজেপি তাঁকে আর ফিরিয়ে নেয়নি। এমনকী বিজেপির কোনও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও তাঁর সঙ্গে দেখা করেননি। গত ১৭ এপ্রিল রাজধানীতে পা রেখেছিলেন রাজ্য–রাজনীতির চাণক্য মুকুল রায়। সল্টলেকের বাড়ি থেকে হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। নয়াদিল্লিতে গিয়ে মুকুল রায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু কোনও কিছুই হয়নি।
এদিকে মুকুল রায়ের এই নিখোঁজ হওয়া নিয়ে থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন পুত্র শুভ্রাংশু রায়। যদিও নয়াদিল্লি পৌঁছে ছেলের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছিলেন। ছেলে শুভ্রাংশু রায়ের অভিযোগ ছিল, দু’জন ব্যক্তি তাঁর বাবাকে ‘অপহরণ’ করেছে। শুভ্রাংশু বলেছিলেন, বাবাকে নিয়ে নোংরা খেলা করা হচ্ছে। অভিষেকের ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করতেই এই খেলার সূচনা। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস মুকুল ইস্যু নিয়ে বিশেষ পাত্তা দেয়নি। কিন্তু মুকুলের কোনও গোপন কাজই সারা হয়নি রাজধানীর বুকে। তাই ১১ দিন পর ঘরের ছেলে ঘরে ফিরছেন। আজ, শনিবার কলকাতায় ফিরে তিনি সংবাদমাধ্যমে দাবি করেন, ‘আমি বিজেপিতেই আছি।’
অন্যদিকে বিজেপিতে ফিরতেই তিনি নয়াদিল্লি গিয়েছিলেন। তৃণমূল কংগ্রেসে কাজ করা যাচ্ছে না বলে সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলেছিলেন। তাই প্রধানমন্ত্রী, অমিত শাহ, জেপি নড্ডাদের সঙ্গে কথা বলবেন বিজেপিতে ফেরার জন্য। যদিও সেসব বিশ বাঁও জলে চলে গিয়েছে। তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ বলেও দাবি করেছিলেন। ওখান থেকে নানা নেতাকে ফোন করেছিলেন মুকুল বলে সূত্রের খবর। তবে সেই ডাকে কেউ সাড়া দেননি। মুকুল বিজেপিতে নাকি তৃণমূলে, তা নিয়েও চর্চা তুঙ্গে উঠেছে। খাতায় কলমে মুকুল এখনও বিজেপি বিধায়ক। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের দফতরেও তাঁকে যেতে দেখা গিয়েছিল। এখন তিনি কি বলেন সেটাই দেখার।