গত অগস্টে পৈশাচিক ঘটনা ঘটে গিয়েছিল আরজি কর হাসপাতালে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় হয়ে উঠেছিল গোটা দেশ। সেই ঘটনার ৬ মাস হতে চলল। কিন্তু, এত কিছুর পরেও অভয়া কাণ্ডে মেলেনি বিচার। তাই নতুন বছরে ফের একবার বিচারের দাবিতে শুরু হতে চলেছে আন্দোলন। এবার রাত দখলের আন্দোলনকারীরা নবান্ন অভিযানের ডাক দিলেন। জানা গিয়েছে, তারা প্রথমে রানী রাসমণি রোডে অবস্থান বিক্ষোভ করবেন। এরপর নবান্নে গিয়ে ডেপুটেশন জমা দেবেন। আগামী ১৬ জানুয়ারি নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
আরও পড়ুন: ‘আরজি করের বিচার চাই’ বৃষ্টি ভেজা শহরে ফের রাস্তায় চিকিৎসকরা, কতটা সাড়া মিলবে?
আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, ৯ অগস্ট ঘটে যাওয়া আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে তারা প্রথম থেকেই প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন। এই ঘটনায় তারা পথে নেমেছেন, এখনও নামছেন এবং আগামী দিনেও বিচারের দাবিতে পথে নামবেন। সেই দাবি জানিয়ে আগামী ১৬ জানুয়ারি রানী রাসমণি রোডে অবস্থান বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়েছে। পরে নবান্নে বিচারের দাবিতে ডেপুটেশন দেওয়া হবে। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে রাজনৈতিক দলের মহিলাদেরও এই আন্দোলনে শামিল হওয়ার ডাক দেওয়া হয়েছে। তবে আন্দোলনকারীদের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যদি কোনও রাজনৈতিক দলের কেউ আন্দোলনে যোগ দেন তারা কর্মসূচিতে দলীয় পতাকা আনতে পারবেন না। রাজনৈতিক মতামত প্রকাশ করতে পারবেন না।
এদিকে, সম্প্রতি ৪২টি প্রশ্ন তুলে নতুন করে তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের আবেদন করেছেন নিহত চিকিৎসকের বাবা মা। তারা, ঘটনার রাতের সাড়ে ৩ ঘণ্টার সিসিটিভি ফুটেজের সিবিআইয়ের জমা দেওয়া বিবরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাতে সিবিআই সঞ্জয়কে শনাক্ত করতে পেরেছিল বাকিদের পারেনি। এনিয়ে সিবিআইয়ের ভূমিকায় ক্ষোভ উগরে দেন নিহত চিকিৎসকের মা-বাবা। তাদের বক্তব্য, কলকাতা পুলিশ যা করেছিল সিবিআইও তাই করছে। তাদের বক্তব্য, একটা হাসপাতালে কর্তৃব্যরত তাদের মেয়ে খুন হয়েছে। ফলে সেই সময় ভিতরে যারা ডিউটিতে ছিল তাদের ধরে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করলে অনেক কিছুই জানা যেত। আরও যে ৪ জন ছিল তাদেরই গ্রেফতার করা হয়নি।
এদিকে, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। ফের আন্দোলনের পথে নামছে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট। তারা আন্দোলনে সকলকে পাশে থাকার ডাক দিয়েছে।