‘কিং' এবং ‘ব🌠াদশা’-র যুগলবন্দীতে ব্লকবাস্টার হয়ে গেল আইপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। শনিবার কলকাতা ইডেন গার্ডেন্সে আইপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন 'বাদশা' শাহরুখ খান। যিনি মঞ্চে ডেকে নেন𓄧 ‘কিং’ বিরাট কোহলিকে। যে কায়দায় বিরাটকে মঞ্চে অভ্যর্থনা জানান শাহরুখ, তাতে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে ইডেন গার্ডেন্স। শাহরুখ বলেন, ‘বাইশ গজের কিং, ১০০ কোটি মানুষের হৃদপিণ্ড এবং ক্রিকেটের GOAT (গ্রেটেস্ট অফ অল টাইম) বিরাট কোহলি।’ আর সেই কায়দায় ‘কিং’-র নাম ঘোষণা হতেই ইডেনে হাজির দর্শকরা এমন চিৎকার করেন যে কথা বলার জন্য বিশেষভাবে আর্জি জানাতে হয় বলিউডের ‘বাদশা’-কে। তাঁকে বলতে হয় যে ‘আমাদের কথা বলতে দিন। এরপর তো ম্যাচও হবে। তখন বিরাটের ব্যাটিং দেখতে পারবেন।’ যে ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
আগামিদিনেও দুর্দান্ত মুহূর্ত উপহার দিতে পারব, আশা বিরাটের
তারইমধ্যে প্রথম আইপিএল থেকে খেলার অভিজ্ঞতার প্রসঙ্গে বিরাট বলেন, ‘নয়া প্রজন্ম খুব দ্রুত উঠে আসছে। কিন্তু পুরনো প্রজন্ম (নিজেকে দেখিয়ে) এখনও এখানে আছে (হাসিমুখে)। আর খেলার উপরে প্রভাব বিস্ত𝓡ার করতে আমরা তৈরি আছি। এখনও খেলতে তৈরি আমরা। আশা করব যে আগামিদিনেও এরকম দুর্দান্ত ফ্যানদের আরও স্মরণীয় মুহূর্ত উপহার দিতে পারব।’
আরও পড়ুন: IP🐓L 2025: রাত ১১:৩০ টায় ব্যাটিং করছেন ধোনি! মাহির কঠিন পরিশ্রমের রহস্য ফাঁস
শাহরুখের সঙ্গে ‘ঝুমে জো পাঠান’-এ নাচ বিরাটের
আর তারপরই আসে সেই মুহূর্ত। যেরকম আশা করা হয়েছিল, সেরকমই হয়।শাহরুখের অনুরোধে ‘ঝুমে জো পাঠান’ গানে নাচেন বিরাট। মাতিয়ে তোলেন মঞ্চ। তারইমধ্যে কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) তারকা রিঙ্কু সিংয়ের সঙ্গেও কোমর দোলান ‘কিং খান’। তিনজনেই নাচেন। পরবর্তীতে বিরাটকে আরও একবার মঞ্চে ঢেকে নেন শাহরুখ। বিরাটের হাতে বিশেষ স্মারক তুলে দেওয়া হয়। বিরাটই এক♌মাত্র খেলোয়াড় যিনি আইপিএলের ১৮টি সংস্করণই একই দলের হয়ে খেলছেন।
২০০৮ সালের পরে ফের উদ্বোধনী ম্যাচে KKR বনাম RCB
আর সেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরে মাঠে শাহরুখের দল কেকেআ𓄧রের সঙ্গে লড়াই করবে বিরাটের দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি)। আইপিএলের প্রথম ম্যাচে এই দু'দলই মুখোমুখি হয়েছিল। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে তিন উইকেটে ২২২ রান তুলেছিল কেকেআর। একাই ৭৩ বলে অপরাজিত ১৫৮ রান করেছিলেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। ১০টি চার মেরেছিলেন। হাঁকিয়েছিলেন ১৩টি ছক্কা। জবাবে মাত্র ৮২ রানে অল-আউট হয়ে গিয়েছিল আরসিবি। ১৪০ রানে জিতে গিয়েছিল কেকেআর।