প্রবীণ ব্যাটিং অলরাউন্ডার সনৎ জয়সূর্য শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ হওয়ার পর থেকেই শ্রীলঙ্কা দলের খেলায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। একের পর এক বড় কীর্তি করে চলেছে শ্রীলঙ্কা দল। শ্রীলঙ্কা ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি পাল্লেকেলে ক্রিকেট স্টেডিয়ামে 𓂃অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই ম্যাচে, শ্রীলঙ্কা একটি রোমাঞ্চকর জয় অর্জন করে এবং ১২ বছর ধরে চলা একটি অপেক্ষার অবসান ঘটিয়েছে।
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে শ্রীলঙ্কার বিস্ফোরক জয়
শ্রীলঙ্কা বনাম নিউজিল্যান্ডের মধ্যে ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে দেখা গেল দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা। এই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ড দল মাত্র ৪৫.১ ওভার খেলতে পারে এবং ২০৯ রানে অলআউট হয়ে যায়। এই সময় সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেন মার্ক চ্যাপম্যান। একই সময♌়ে মিচেল হে ৪৯ রান এবং উইল ইয়ংও ২৬ রান করেন। তবে এনারা ছাড়া আর কোনও ব্যাটসম্যান বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি। অন্যদিকে, শ্রীলঙ্কার পক্ষে মাহিশ থিকশানা এবং জিওফ্রে ভ্যান্ডারসে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট শিকার করেন।
কিন্তু, ২১০ রানের লক্ষ্যের জবাবে শ্রীলঙ্কা একটা সময়ে মাত্র ১৬৩ রানে তাদের সাত উইকেট হারিয়ে ফেলে। এমন পরিস্থিতিতে এই ম্যাচ নিউজিল্যান্ডের পক্ষেই যাচ্ছিল বলে মনে হচ্ছিল। কিন্তু কুশল মেন্ডিসের ব্যাট থেকে দেখা গেল একটি ম্যাচ জেতানো ইনিংস। তিনি অপরাজিত ৭৪ রান করে দলকে জয়ের পথে নিয়ে যান। একই সময়ে, মাহিশ থিকশানা ব্যাট হাতেও সকলকে অবাক🐓 করে দিয়েছেন। মাহিশ থিকশানা ৪৪ বলে অপরাজিত ২৭ রান করে দলকে জয়ের পথে নিয়ে যান। জানিয়ে রাখি, সিরিজের প্রথম ম্যাচটিও ছিল শ্রীলঙ্কার নামে। এমন পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কা এখন সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়♏ে রয়েছে এবং এক ম্য়াচ বাকি থাকতেই সিরিজ দখল করেছে।
১২ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটল শ্রীলঙ্কা
ক্রিকেট ইতিহাসের ১২ বছর পর ওডিআই সিরিজে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। এর আগে ২০১২ সালে এই কীর্তি করেছিল শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল। একই সঙ্গে ঘরের মাঠে টানা ষষ্ঠ ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের ইতিহাসে এই প্রথম ঘরের মাঠে টানা ৬টি সিরিজ জিতল তারা। এর আগে ১৯৯৭ ও ২০০৩ সালে শ্রীলঙ্কা টানা পাঁচটি ไকরে সিরিজ জিতেছিল। ♔এ ছাড়া এই বছর সিরিজে মোট ৫টি ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে। যা নিজে থেকেই একটি রেকর্ড, এর আগে শ্রীলঙ্কা এটি করেছিল ২০১৪ সালে।