শেষমেশ ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙে বিরাট কোহলির। অজি সমর্থকদের ক্রমাগত বিদ্রুপের শিকার হওয়ার পরে পালটা দিলেন বিরাট। মোক্ষম খোঁচা দিতে মোটেও কুণ্ঠা বোধ করলেন না কোহলি।
মেলবোর্ন টেস্টে স্যাম কনস্টাসের সঙ্গে ঝামেলায় জড়ানোর জেরে বিরাট কোহলিকে আইসিসির শাস্তির মুখে পড়তে হয়। তবে তার পরেও গ্যালারি থেকে অজি সমর্থকদের ক্রমাগত বিদ্রুপ করতে দেখা যায় কোহলিকে।
মেলবোর্ন ছাড়িয়ে সিডনিতেও সংক্রামিত হয় অজি সমর্থকদের কটুক্তি। সিডনির গ্যালারি থেকেও কোহলি, বুমরাহ, সিরাজদের বিদ্রুপ করা হতে থাকে ক্রমাগত। শেষমেশ সিডনি টেস্টের তৃতীয় দিনে কোহলি পালটা দেন অজি দর্শদকের। তিনি নিজের দু'পকেট টেনে দেখিয়ে খুঁচিয়ে তোলেন স্যান্ডপেপার বিতর্কের স্মৃতি।
আরও পড়ুন:- Fastest Fifty: টেস্টে ভারতের হয়ে দ্রুততম হাফ-সেঞ্চুরি, দেখুন সেরা পাঁচের তালিকা
বিরাট তাঁর খালি পকেট দেখিয়ে বোঝাতে চান যে, তাঁরা পকেটে স্যান্ডপেপার নিয়ে মাঠে নামেন না। তিনি হাতে বল ঘষার ইঙ্গিতও করেন। অর্থাৎ, বিরাট এটাও বোঝান যে, সাফল্য পাওয়ার চেষ্টায় তাঁরা কোনও অনৈতিক রাস্তায় হাঁটেন না। কোহলি নিজের প্যান্ট টেনে অন্তর্বাসের দিকে তাকিয়ে বুঝিয়ে দেন, তাঁরা অর্ন্তবাসে স্যান্ডপেপার লুকিয়ে ফেলেন না।
উল্লেখ্য, ২০২৮ সালের ২৪ মার্চ অজি ক্রিকেটকে কলঙ্কিত করেন স্টিভ স্মিথ, ক্যামেরন ব্যানক্রফট ও ডেভিড ওয়ার্নার। সেদিন কেপ টাউনে কুখ্যাত স্যান্ড পেপার গেট বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। যার জেরে নির্বাসিত হতে হয় স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার ও ক্যামেরন ব্যানক্রফ্টকে।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে কেপ টাউন টেস্টে বলের পালিশ তোলার জন্য পকেটে স্যান্ডপেপার নিয়ে মাঠে নামেন ক্যামেরন ব্যানক্রফট। পরিকল্পনা ছিল ডেভিড ওয়ার্নারের। ক্যাপ্টেন স্টিভ স্মিথের নির্দেশেই ব্যানক্রফট এমন কাজ করেন। ব্যানক্রফটের হাতে স্যান্ডপেপারের উপস্থিতি ধরা পড়ে যায় ক্যামেরায়। ব্যানক্রফট তড়িঘড়ি সেটি লুকিয়ে ফেলার চেষ্টা করেন নিজের অন্তর্বাসে। যদিও তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি।