সালটা ছিল ১৯৬১, সেবছরই মুক্তি পেয়েছিল তপন সিনহা পরিচালিত 'ঝিন্দের বন্দী'। সেই ছবিতেই একফ্রেমে দেখা গিয়েছিল বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্𒅌রির দুই কিংবদন্তিকে। একজন উত্তম কুমার, অপরজন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। আর তাই এই 'ঝিন্দের বন্দী' ছবির প্রসঙ্গ উঠলে বাঙালি দর্শক নস্টালজিক হবে, সেটাই স্বাভাবিক। বেশকিছুদিন আগে থেকেই শোনা যাচ্ছিল এই ছবির রিমেক হওয়ার কথা। শোনা গিয়েছিল, এই ছবির পরিচালক নাকি অরিন্দম শীল। যদিও আগে এখবর হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার কাছে স্বীকার করেননি পরিচালক। তবে ফের শোনা যাচ্ছে, 'ঝিন্দের বন্দী'র রিমেকের খবর।
শোনা যাচ্ছে, SVF-এর পꦬ্রযোজনাতেই নাকি তৈরি হবে এই ছবি। সূত্র বলছে, এই ছবির প্রযোজনায় SVF-এর সঙ্গে হাত মেলাতে পারে ক্যামেলিয়া প্রোডাকশন। আর গত ১ বছর ধরে এই ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন অরিজিৎ বিশ্বাস। যেখানে অভিনয় করবেন অনিবার্ণ ভট্টাচার্য ও যিশু সেনগুপ্ত। তবে ঠিক কে কোন চরিত্রে এবিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। সময় এলেই বাকিটা প্রকাশ্যে আসবে।
প্রসঙ্গত, কয়েকবছর আগে প্রযোজক রানা সরকার এই 'ঝꦬিন্দের বন্দী' রিমেক ত♚ৈরির উদ্যোগ নিয়েছিলেন। সেসময় ছবির পরিচালক হিসাবে অঞ্জন দত্ত ও পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের নাম উঠে এসেছিল। যদিও পরে সেই ছবির কাজ শুরুই হয়নি।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৪ সালের অ্যান্টনি হোপের ‘দ্য প্রিজনার অফ জেন্ডা’ উপন্যাস থেকে গৃহীত হয়েছিল তপন সিনহা পরিচালিত, 'ঝিন্দের বন্দী' ছবিটির মূল প্রেক্ষাপট। ছবির গল্পে একজন ব্যক্তি কলকাতায় গৌরী শঙ্কর রায় (উত্তম কুমার) এর সঙ্গে দেখা করতে আসেন। যিনি নিজেকে মধ্যপ্রদেশের একটা ছোট রাজ্য ঝিন্দের 'ফৌজি সর্দার' (সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান) হিসেবে পরিচয় দেন। তিনি꧑ বলেন ঝিন্দের রাজা শঙ্কর সিং তাঁর রাজ্যাভিষেকের ঠিক আগে রাজ্য থেকে নিখোঁজ হয়ে যান। যেটা কিনা তাঁর নিজের ভাই উদিত সিংয়ের ষড়যন্ত্র, যিনি রাজ্য নিজের হাতে চান। এর আগেও, দুইবার রাজ্যাভিষেকের আয়োজন করা হয়েছিল, কিন্তু কোনও অনুষ্ঠানেই রাজাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। উদিত একজন নিষ্ঠুর মানুষ, ভালো রাজা হওয়ার অযোগ্য বলে জানানো হয়। বলা হয় শঙ্কর সিং-এরও অনেক দুষ্কর্ম আছে, তবে তিনি একজন সহৃদয় ব্যক্তি যিনি তার নাগরিকদের যত্ন নেবেন এবং রাজা হওয়ার যোগ্য।
গল্পে কাকতাল🌠ী♏য়ভাবে, গৌরীশঙ্করকে দেখতে হুবহু শঙ্কর সিংয়ের মতো। আর তাই ফৌজি সর্দার তাঁকে রাজ্যাভিষেকের জন্য রাজা সাজতে বলেন অন্তত যতক্ষণ না আসল রাজাকে খুঁজে না পাওয়া যায়। গৌরীশঙ্কর রাজিও হন। এরপর তিনি ঝিন্দের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। তারপরই ঘটে নানান ঘটনা।
তপন সিনহার ছবিতে গৌরী শঙ্কর রায়ের চরিত্রে উত্তম কুমার এবং উদিত সিংয়ের বন্ধু ময়ূরবাহনের চর𝓀িত্রে অভিনয় করেছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। আর রানি কস্তুরী বাই-এর ভূমিকায় ছিলেন অরুন্ধতী দেবী।𒐪