২০০০ সালে যে পথ চলা শুরু হয়েছিল, তার ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে কেবিসি পালন করছে ‘জ্ঞান কা রজত মহোৎসব’। ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে গত কয়েক বছরের বাছাই করা কিছু প্রতিযোগীকে ফের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে মঞ্চে। এই প্রতিযোগীদের মধ্যে একজন হলেন হিমানি বুন্দেলা, যিনি কেবিসের প্রথম দৃষ্টি প্রতিবন্ধী কোটিপতি। কোটিপতি হওয়ার পর হিমানীর জীবন ঠিক কীভাবে বদলে গেল সেটাই তিনি শোনালেন মঞ্চে এসে।
হিমানী পেশায় একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। KBC থেকে যে অর্থ তিনি লাভ করেছিলেন তার পুরোটাই প্রতিবন্ধীদের সাহায্যার্থে উৎসর্গ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। সব থেকে বড় কথা, নিজের প্রতিবন্ধকতার চিকিৎসা না করে পুরো অর্থই প্রতিবন্ধী শিশুদের সাহায্য করার জন্য ব্যয় করে দেন হিমানী।
আরও পড়ুন: ‘খুশিতে আত্মহারা…’, গণহত্যা-ধর্ষণ ভুলে মুজিবকেই মুছে দিল বাংলাদেশ, ‘কাটা হিজবুতি’দের কটাক্ষ তসলিার
আরও পড়ুন: চিরসখাকে হারিয়ে প্রথমবার স্লট পেল মিত্তির বাড়ি! শীর্ষে পরিণীতা, ফুলকি-কথার কী হাল?
অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে কথোপকথনের সময় তিনি বলেন, আমি কখনও কল্পনাও করিনি যে আমার জীবনে এত বড় পরিবর্তন আসবে। এটা সত্যিই আমার জীবনের একটি অলৌকিক ঘটনা। এই মঞ্চে আসার পর এবং অর্থ জয় করার পর মনে হয়েছিল আমার পুনর্জন্ম হয়েছে। টাকা জেতার পর আমার বাড়িতে প্রায় দীপাবলীর মতো পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৪০০টির বেশি সাক্ষাৎকার দিয়েছি এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সম্মানিত হয়েছি।
KBC মঞ্চ থেকে যে অর্থ উপার্জন করেছিলেন হিমানী, তার পুরোটাই অন্যের চিকিৎসায় ব্যবহার করার জন্য ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছিলেন এই প্রতিযোগী। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে রাজ্যের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করেছেন। বছরের সেরা রোল মডেল হিসেবে রাষ্ট্রপতি পুরস্কারেও পুরস্কৃত হয়েছেন এই প্রতিযোগী।
আরও পড়ুন: ওয়েলকামে ‘মজনু’র সেই ঘোড়া-গাধা নিয়ে নস্টালজিক অনিল! জানেন ভাইরাল এই ছবি আসলে কাদের আঁকা
হিমানীর এই অসামান্য কাজের প্রশংসা করতে শোনা যায় অমিতাভ বচ্চনকেও। টাকা পেয়ে অনেকেই নিজের স্বপ্ন পূরণ করেন কিন্তু কিছু কিছু মানুষ এমন থাকেন যারা অন্যের স্বপ্ন পূরণ করতে পারেন, নিঃসন্দেহে তাঁদের মধ্যে একজন হলেন হিমানী বুন্দেলা।