কলকাতায় এবারেও ঢোকা যাবে না দুর্গা মণ্ডপে। এমন অবস্থায় অনেকেই ভাবছেন পুজোর চারদিন বাইরে কাছে-পিঠে কোথাও গিয়ে🧔 ছুটি কাটানোর কথা। বাঙালির ‘দীপুদা’ (দীঘা-পুরি-দার্জিলিং)-এ ভিড় জমাবেন বেশিরভাগ মানুষ। ভিড় থাকবে উত্তরবঙ্গেও। তাই পাহাড়ের আস্বাদ নেওয়ার আরেক ঠিকানা রইল আপনার জন্য। পাশের রাজ্য ওড়িশাতেই ‘কাশ্মীর’ আছে জানতেন? আজ্ঞে ঠিকই শুনেছেন। চলুন জেনে নেᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚই সেই স্বর্গের হাতছানি ঠিক কীরকম। কীভাবেই বা যাবেন। আর কোথায় থাকবেন।
ওড়িಌশার কান্ধামাল জেলার শৈলশহর দারিংবাড়ি। যাকে অনেকেই আবার ‘ওড়িশার কাশ্মীর’ বলে উল্লেখ করে থাকে। এই পাহাড়ি শহরও তৈরি হয়েছে ইংরেজদের হাতে। কথিত আছে দারিং সাহেব ইংরেজ সরকারের থꦇেকে দায়িত্ব পেয়ে এই এলাকায় থাকতে শুরু করেন। আর তার নাম অনুসারেই জায়গার নাম হয় দারিংবাড়ি। লোকমুখে এখনও এটা নামেই পরিচিত। আবার স্থানীয় কুইভাষায় 'দারিং' শব্দের অর্থ উপত্যকা, আর 'বাড়ি' অর্থে ঘর, সেইদিক থেকে 'দারিংবাড়ি' শব্দের অর্থ হল উপত্যকার বাড়ি।
ওড়িশা মূলত পরিচিত তাঁর সমুদ্রতটের জন্য। কিন্তু সেখানে এমন একটা জায়গা আছে শুনলে অবাক হবেন অনেকেই। ঝর্না, নদী, পাহাড়, জঙ্গল-- কী নেই সেখানে। পাহাড়ি জঙ্গলেই রয়েছে থাকার আস্তানা। পাইনের সাড়ি দেখে মনেই হবে না আপনি ওড়িশায় রয়েছেন। সমুদ্রপৃষ্ট থেকে ৯১৫ মিটার উচ্চতায় অবস্থান করছে এটি। শীতে এখানকার তাপমাত্রা চলে 💮যায় মাইনাসে। রাতে কখনও কখনও হয় তুষারপাতও। পূর্বঘাট পর্বতশ্রেণির বিভিন্𝓰ন শৃঙ্গই ঘিরে রেখেছে পাহাড়ি শহরটিকে। একটু নিরিবিলি জায়গা যাঁরা পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য একেবারে আদর্শ।
কী কী দেখবেন?
পাহাড়ে ঘেরা দারিংবাড়িতে দেখার জায়গার কমতি নেই। তাই হাতে ২-৩ দিন নিয়ে অবশ্যই আসবেন। রয়েছে লুদু জলপ্রপাত, মড়ুবান্দা জলপ্রপাত ও পুতুদি জলপ্রপাত। শেষেরটি অর্থাৎ পুতুদি জলপ্রপা𓆏ত ওড়িশার সবথেকে বেশি জনপ্রিয় জলপ্রপাত। চারিদিক ঘন অরণ্যে আবৃত এই জলপ্রপাতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। ঘুরে দেখে নিতে পারেন দুলুরি নদীতেও। পাইন জঙ্গলের মধ্য দিয়ে সশব্দে বয়ে যাওয়ার দুলুরি বরাবরই মন টানে সকলের। চুপ করে বসে থাকলে কানে আসবে প🌼াখির আওয়াজ ও নদী বয়ে চলার একটানা শব্দ। রয়েছে হিল ভিউ পার্ক ও কফি গার্ডেনও। এছাড়াও আছে নানা ছোড-বড় স্পট। যা গাড়ি ভাড়া করে দেখে নিতে পারবেন। রয়েছে ফরেস্ট সাফারির ব্যবস্থাও।

কীভাবে যাবেন
ভুবনেশ্বর (Bhubaneswar) থেকে দারিংবাড়ির দূরত্ব ২৫১ কিমি। ট্রেনে বা ফ্লাইটে ভুবনেশ্বরে নেমে গাড়ি করে যেতে পারেন। রয়েছে বাস সার্ভিসও। এছাড়🥂া দারিংবাড়ির সবচেয়ে কাছের রেল স্টেশন বেরহমপুর (Berhampur)। সড়ক পথে দূরত্ব ১২০ কিমি। দারিংবাড়ির সবচেয়ে কাছের গ্রাম ফুলবনী।
কোথায় থাকবেন
দারিংবাড়িতে অনেক হোটেল ও ফরেস্ট বাংলো আছে। যার🧜 মধ্যে কিছু আবার বেশ নির্জনে, বনের মাঝে। অর🗹ন্যে থাকার আস্বাদ মিলবে এখানে থাকলে। অনেকে আবার ফুলবনীতে থকেও ঘুরে দেখেন দারিংবাড়ি।