শীতকালে মানেই মিঠে রোদে বসে একটু আরাম পাওয়া! এদিকে,শীতে গায়ের রং প্রায়ই কালো ছোপও পড়তে শুরু করে। যার কারণে মুখের রং ফ্যাকাশে ও নিস্তেজ দেখাতে শুরু করে। এটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ত্বকের যত্ন না নেওয়ার কারণে ঘটে। শীতের মরশুমে প্রবাহিত ঠাণ্ডা বাতাস কিংবা ঠাণ্ডা থেকে বাঁচতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সূর্যের দিকে মুখ করে বসে থাকার অভ্যাস, এই দুটি জিনিসই মুখের আর্দ্রতা কেড়ে নিয়ে প্রাণহীন করে তোলে।
ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে বাজারে পাওয়া বিভিন্ন ধরনের ক্রিম ও লোশন ব্যবহার করে থাকেন অনেকেই, কিন্তু কিছু সময় পর এই লোশনগুলো ত্বককে কালো করতে শুরু করে। আপনার ত্বকের অবস্থাও যদি একই রকম হয়, তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু ঘরোয়া প্রতিকার, যা আপনাকে শীতে হারিয়ে যাওয়া ত্বকের জেল্লা ফিরে পেতে সাহায্য করতে পারে।
শীতে কালো ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে এই সহজ উপায়গুলো
আলুর রস
আলুর রস মুখে লাগালে ত্বকের কালো দাগ দূর হয়। এই প্রতিকারটি করার জন্য, প্রথমে আলু গ্রেট করুন এবং এর রস বের করুন। এরপর তুলোর সাহায্যে আলুর রস মুখে লাগিয়ে রাখুন ১০ মিনিট। এরপর জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
( India China:চালু হচ্ছে ভারত-চিন সরাসরি বিমান পরিষেবা! চলতি বছরে কৈলাস মানসরোবর যাত্রা শুরু, বহু বিষয়ে সহমত দিল্লি-বেজিং)
( Murder: বিধবা ভাতার এককালীন ১০ হাজার পেয়েছিলেন শাশুড়ি, জানত জামাই! টাকা রাখা ছিল অন্যত্র, বৃদ্ধা খুনে ধৃত ১)
টমেটো রস
টমেটোর রস মুখের বর্ণ উন্নত করে শুষ্ক ত্বকের সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে। টমেটোর রসের এই প্রতিকারটি ব্যবহার করতে, প্রথমে টমেটো গ্রেট করে এর রস বের করুন। এরপর আঙুল বা তুলোর সাহায্যে মুখে টমেটোর রস লাগিয়ে রাখুন ১০ মিনিট। নির্ধারিত সময়ের পর জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। টমেটোতে উপস্থিত ভিটামিন সি ত্বকের উন্নতিতে সাহায্য করে।
মুলতানি মাটি
মুলতানি মাটির ফেসপ্যাক মুখে লাগালে ত্বকের কালো ভাব দূর হয়। অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-এজিং বৈশিষ্ট্যের পাশাপাশি, মুলতানি মাটিতে অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্যও রয়েছে, যা ত্বকের কালোভাব দূর করতে সাহায্য করতে পারে। এই মুলতানি মাটির প্রতিকার করতে, একটি পাত্রে ৪ চা চামচ মুলতানি মাটি, ২ চা চামচ লেবুর রস, ৪ চা চামচ দই এবং ১ চা চামচ গ্লিসারিন যোগ করে একটি পেস্ট তৈরি করুন। এবার এই পেস্টটি মুখে আধা ঘণ্টা রেখে দিন। এরপর গোলাপজল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন। পেস্টটি পরিষ্কার করার পরে, হালকা গরম জল দিয়ে মুখটি ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুবার এই কাজ করুন।