বিশ্বকল্যাণ পুরকায়স্থ
১৯৭১ সালের মুক্তি যুদ্ধে ভারত যেভাবে আশ্রয় দিয়েছিল বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সেই একইভাবে রোহিঙ্গ𝔍াদের আশ্রয় দিচ্ছে বাংলাদেশ। অসমের শিলচরে সিলেট ফেস্টিভালে যোগ দিয়ে এই বার্তা দিয়েছেন বাংলাদশের বিদেশমন্ত্রী আবদুল মোমেন।
শিলেট ফেস্টিভালের শেষপর্বে তিনি বাংলাদেশের রাহিঙ্গা সমস্যার কথা কুলে ধরেন। আবদুল মোমেন বলেন, মায়ানমার থেকে বাংলদেশে আসা ১.১ মিলিয়ন রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সাময়িক আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ, ঠিক যেভাবে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমানে বাংলাদেশ) থেকে আসা ১০ মিলিয়ন মানুষকে ভারত আশ্রয় দিয়েছিল। দুই ক্ষেত্রেই মানবিকতাই প্রাসঙ্গিক বলে বার্তা দেন তিনি। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি কারণ মুক্তিযুদ্ধকালে ভারতও শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছিল।’ বাংলাদেশের রোহিঙ্গা প্রসঙ্গ তুলে আবদুল মোমেন বলেন, ‘মায়ানমার সরকার আমাদের কথা দিয়েছে যে তারা রোহিꦰঙ্গাদের সম্মান ও স্বীকৃতি দিয়ে ফিরিয়ে নেবে। আমরা তাঁদের বিশ্বাস করেছি। তবে গত ৬ বছরে একজনও রোহিঙ্গাকেও ফিরিয়ে নেওয়া হয়নি। ’ আবদুল মোমেন আর্জি জানান যাতে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহল মায়ানমারকে এই রোহিঙ্গা ইস্যুতে বুঝিয়ে শরণার্থীদের ফিরিয়ে নেওয়ার বন্দোবস্ত করে। এই প্রসঙ্গ তুলেই তিনি মনে করিয়ে দেন যে, ১৯৭১ সালের যুদ্ধের সময় অসমের ৪৫ টি ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় পেয়েছিলেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান থেকে আসা শরণার্থীরা। মোমেন বলেন,' ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে দুই দেশের সম্পর্কে স্বর্ণযুগ দেখা যাচ্ছে।' তিনি বলেন, ভারতের উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলির সঙ্গেও বাংলাদেশের সম্পর্ক গভীর, কারণ সংস্কৃতিগত, ভাষাগত খাদ্যাভ্যাসগত মিল রয়েছে।
পাকিস্তানি ড্র𒁏োন থেক📖ে সীমান্তে বর্ষণ মাদক ও অস্ত্র! বিএসএফের রুদ্ধশ্বাস তৎপরতা
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের কক্সবাজারে ২০১৬ সালের সময় থেকেই মায়ানমার থেকে বহু রোহিঙ্গারা এসে শরণ নিয়েছেন। তারপর থেকে বাংলাদেশ জনসংখ্যা বিস্ফোরণ ইস্যুতে বেশ উদ্বেগে। এদিকে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে বিচ্ܫছিন্নতাবাদ বা উগ্রপন্থার আঁতুর ঘর যে হতে দিতে চাননা, তারও বার্তাদ দিয়েছেন। সেই জায়গা আবদুল মোনেন বলছেন, ভারতের উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিতে বহু প্রাইভেট সংস্থা আসছে ব্যবসায়িক স্বার্থে। সেই দিক থেকে আর্থিক উন্নতির ক্ষেত্রে শান্তি ও সুস্থিরতা খুবই প্রয়োজন। সেই প্রসঙ্গেই রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধানের ডাক আরও একবার জানান বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী।