উৎপল পরাশর
বাংলাদেশে উদ্বাস্তু হয়ে আসা রোহিঙ্গারা উগ্রপন্থার রাস্তা নিতে পারেন! এমন আশঙ্কা রয়েছে বাংলাদেশের। ফলে রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে হস♍্তান্তরের জন্য এবার ভারতের মুখাপেক্ষী বাংলাদেশ। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী একে আবদুল মেনন𝔉 শনিবার রোহিঙ্গাদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী বলেন, তাঁদের আশঙ্কা রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে চরমভাবাপন্ন মনোভবের পথে এগিয়ে যেতে পারেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রবলভাব বেড়ে যাচ্ছে মায়ানমারের অধিবাসীদের সংখ্যা। যাঁদের জোর করে তাঁদের নিজেদের দেশ থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে। আর বাংলাদেশ তাঁদের খাদ্য আশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে মানবিকতার দিক দিয়ে। ’ উল্লেখ্য, অসমের গুয়াহাটিতে দুই দিন ব্যাপী এশিয়ান কনফ্লুয়েন্স রিভার কনক্লেভ শুরু হয়েছে। সেখানে আমন্ত্রিত হয়ে উপস্থিত রয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, উপস্থিত রয়েছেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন। আর সেই অনুষ্ঠানেই রোহিঙ্গা ইস্যুতে মুখ খোলেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী। গরমে ত্🔯বকে বাড়ছে দাগ ছোপ, হারাচ্ছে জেল্লা? রূপে আমূল বদল এনে দিতে ꦿপারে এই টিপস
রাষ্ট্রসংঘের পরিসংখ্যান বলছে, মায়ানমারের রোহিঙ্গাদের উপর সশস্ত্র হামলা, হিংসা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের নানান ঘটনায় তাঁরা মায়ানমার ছাড়তে বাধ্য হন। অনেক রোহিঙ্গা মুসলিমই সেই সময় জলপথে বা পায়ে মাইলের পর মাইল হেঁটে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। বলা হয় সেই ঘটনার পর বাংলাদেশের কক্সবাজার বিশ্বের অন্যতম বড় উদ্বাস্তু ক্যাম্প হিসাবে উঠে আসে। উল্লেখ্য, বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে থাকা মায়ানমারে সংখ্যালঘুদের মধ্যে রয়েছেন রোহিঙ্গা মুসলিমরা। ১৯৮২ সাল থেকে রেহিঙ্গারা মায়ানমারে নাগরিকত্ব পাচ্ছেন না। এদিকে, রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের জেরে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে সেদেশের বিদেশমন্ত্রী আবদুল মোমেন বলেন, ‘ওঁরা সাময়িকভাবে বাংলাদেশে গত ৫ বছর ধরে রয়েছেন। তাঁরা সকলেই নিজের মাতৃভূমিতে ফিরে যেতে চাইছেন। অনেকেই বিরক্ত হয়ে রয়েছেন,ꦜ অনেকে অপরাধমূলক কাজে যোগ দিয়েছে। মানুষ পাচার, মাদক পাচার ও হিংসার মতো ঘটনায় তাঁরা জড়িত। ’ এরসঙ্গেই তিনি বলেন, ‘আমরা আশঙ্কা করছি এঁরা উগ্রপন্থার আশ্রয় নিতে পারে। যারফলে গোটা এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এঁদের প্๊রত্যাবর্তন খুবই জরুরি, আমি চাই আপনাদের (ভারত) এর সাহায্য। ’