ক্রেতাকে খুশি করতে গিয়ে উলটে রীতিমতো সমালোচিত হতে হল সুইগি ইনস্টামার্ট কর্তৃপক্ষকে। ঘটনার নেপথ্যে রয়েছেন বেঙ্গালুরুর এক বাসিন্দা। যিনি একজন পেশাদার 'প্রোডাক্ট ডিজাইনার', নাম রামানুজন।
ওই ব্যক্তির সোশাল মিডিয়া পোস্ট থেকে জানা গিয়েছে, তিনি সুইগি ইনস্টামার্টে বেশ কিছু পণ্য কেনার জন্য অর্ডার করেছিলেন। যার জেরে সংস্থার তরফে তাঁকে বিনামূল্যে ৫০০ গ্রাম টম্য়াটো দেওয়া হয়।
আর এতে চটে যান ওই গ্রাহক। তাঁর বক্তব্য, তিনি ওই বিনামূল্যের টম্য়াটো নিতেই চান না। কারণ, তার ওই পণ্য়ের কোনও প্রয়োজন নেই। অথচ, সুইগি ইনস্টামার্টে এমন কোনও বিকল্প বা অপশন রাখা হয়নি, যার মাধ্যমে তিনি ওই বিনামূল্যের পণ্য তাঁর 'কার্ট' বা অর্ডার করা পণ্য তালিকা থেকে বাদ দিতে পারেন।
ওই ব্যক্তি এই ব্যবস্থাপনাকে 'ডার্ক ডিজাইন' বলে উল্লেখ করেছেন। সেইসঙ্গে, সুইগি ইনস্টামার্টে সেই বিনামূল্যের টম্যাটো কার্ট থেকে বাতিল করতে না পারার বিষয়টিও স্ক্রিন শটের মাধ্যমে তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন ওই ব্যক্তি। তিনি জানিয়েছেন, ক্রেতা চান বা না চান, ওই বিনামূল্যের সামগ্রী নিজে থেকেই তাঁর কার্টে যুক্ত হয়ে যাবে। ফলে ক্রেতা না চাইলেও, সেই পণ্য তিনি নিতে বাধ্য হবেন।
রামানুজন তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে এই প্রসঙ্গে লিখেছেন, 'সুইগি ইনস্টামার্টের এটি একটি অত্যন্ত জঘন্য ব্যবস্থাপনা। যেখানে একটি পণ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার তালিকায় যুক্ত হয়ে যায়। আমার টম্য়াটো চাই না। কিন্তু, আমি সেটা আমার কার্ট থেকে বাদ দিতেই পারছি না। এমনকী, আমি যদি এর জন্য টাকা না দিই, তাও।'
সুইগি ইনস্টামার্টের এই ব্যবস্থাপনাকে 'বাস্কেট স্নিকিং' এবং 'ডার্ক প্যাটার্ন' বলে অবিহিত করেছেন রামানুজন।
প্রসঙ্গত, 'বাস্কেট স্নিকিং' বলতে বোঝায়, ক্রেতার অনুমতি ছাড়াই তাঁকে কোনও পণ্য নিতে বাধ্য করা। এবং 'ডার্ক প্যাটার্ন' হল, এমন এক ধরনের প্রোডাক্ট ডিজাইন, যেখানে ক্রেতাকে বোকা বানিয়ে এমন জিনিস কিনতে বাধ্য করা হয়, যেটা আদৌ তাঁর কেনার প্রয়োজন নেই।
রামানুজনের এই পোস্টে সোশাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের অধিকাংশই যথেষ্ট অবাক হয়েছেন। অনেকে আবার তাঁর সঙ্গে সহমতও পোষণ করেছেন। তাঁর পোস্টটি ইতিমধ্যেই ৬৮ হাজারেরও বেশিবার দেখা হয়েছে।
এক্স ইউজারদের একাংশের প্রশ্ন হল, যেহেতু এক্ষেত্রে ওই টম্যাটোর জন্য সংস্থার তরফে কোনও টাকা নেওয়া হচ্ছে না, তাই একে কি আদৌ ডার্ক প্যাটার্ন বলা যায়?
যদিও অনেকেই আবার বলছেন, বিনামূল্য়ে দিলেও কাউকে কোনও পণ্য নিতে এভাবে বাধ্য করা ঠিক নয়। তাই এক্ষেত্রে ক্রেতা যাতে সেই 'অফার' প্রত্যাখ্যান করতে পারেন, সংস্থার তরফে সেই ব্যবস্থাও রাখা উচিত।