'ইলন মাস্ক টেরিফিক!' প্রশাসন থেকে বেরিয়ে গেলেও টেসলা কর্তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মাত্র ৪ মাসেই মোহভঙ্গ। ট্রাম্পের প্রশাসন ছাড়ছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী এবং টেসলা ও স্পেসএক্স প্রধান ইলন মাস্ক। সরে আসার খবর জানানোর পাশাপাশি ইলন মাস্ক জানান, তাঁর নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হল।তারপরেও মাস্কের পাশে রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। শুক্রবার ওভাল অফিস থেকে একসঙ্গে একটি সাংবাদিক বৈঠকও করার কথা রয়েছে ট্রাম্প-মাস্কের।
সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডল ট্রুথ সোশ্যালে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, 'এটাই ওঁর শেষ দিন হতে চলেছে। তবে ওঁ সর্বদাই আমাদের সঙ্গে থাকবে। সাহায্য করব। ইলন টেরিফিক!' এরপরেই ওভাল অফিস থেকে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনের কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এর আগে ইলন মাস্ক এক্স-এ পোস্টে লিখেছেন, ‘একজন বিশেষ সরকারি কর্মচারী হিসেবে আমার নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, অপচয় কমানোর সুযোগের জন্য আমি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।ডিওজিই মিশন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও শক্তিশালী হবে কারণ এটি সরকারের জীবনের একটি অংশ হয়ে উঠবে।’
আরও পড়ুন-'পাকিস্তান কতগুলি রাফাল...', কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নে রাজনৈতিক তরজা
ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের আনা একটি বিলের সমালোচনা করার পরদিনই নিজের দফতর থেকে পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন ইলন মাস্ক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সির একজন বিশেষ সরকারি কর্মচারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি। বেশ কিছু সময় ধরে জল্পনা চলছিল ডিওজিই-এর কাজ দেখাশোনা করার কারণে, তিনি তাঁর ব্যবসায় মনোযোগ দিতে পারছিলেন না।ইলন মাস্কের সরকারি দায়িত্বের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ৩০ মে। ১৩০ দিনের ম্যান্ডেট নিয়ে দায়িত্বে আসেন মাস্ক। তবে ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে, ফেডারেল সরকারকে পুনর্গঠন এবং ব্যয়-কর্মী কমাতে ডিওজিইয়ের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। ইলন মাস্ক বলেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ডিওজিইয়ের কার্যক্রম আরও জোরদার হবে। সরকারের মাধ্যমে এটা জীবনের অংশ হয়ে উঠবে।
আরও পড়ুন-'পাকিস্তান কতগুলি রাফাল...', কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নে রাজনৈতিক তরজা
মনে করা হচ্ছে, ট্রাম্পের 'ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল' নিয়ে মাস্কের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছিল। মাস্ক বলেন, 'হয় একটি বিল বড় হবে অথবা দুর্দান্তও হতে পারে। কিন্তু আমার মনে হয় না একই সঙ্গে দুটোই হতে পারে।' জনকল্যাণমূলক কাজে সার্বিক সংস্কারের লক্ষ্যে একটি বিলে সই করেন ট্রাম্প। মাস্কের অবশ্য দাবি ছিল, এর ফলে রাজকোষ ঘাটতি আরও বাড়বে এবং তাঁর নিয়ন্ত্রণাধীন দফতরের কাজ বাধাপ্রাপ্ত হবে। বিল নিয়ে এই মতান্তরের জেরেই মাস্ক ট্রাম্প প্রশাসন থেকে বেরিয়ে গেলেন? এই প্রশ্ন উঠছে ওয়াকিবহাল মহলে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ আস্থাভাজন বলেই পরিচিত ছিলেন তিনি। তবে মাস্কের এই আকস্মিক ঘোষণার নেপথ্যে কোন কারণ, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে। কারও কারও দাবি, ট্রাম্পের সঙ্গে প্রশাসনিক নানা বিষয়ে মতান্তরের জেরেই মাস্কের এই সিদ্ধান্ত।