কাজের সময় যদি কেউ ঘুমিয়ে পড়েন, তাহলে কি তাঁকে সাসপেন্ড করা যায়? কর্ণাটক হাইকোর্টের তরফ থেকে এই নিয়ে বড় রায় দেওয়া হল। উল্লেখ্য, কাজের সময় ঘুমিয়ে পড়েছিলেন কল্যাণ কর্ণাটক সড়ক পরিবহণ সংস্থার (কেকেআরটিসি) এক কর্মী। এর জেরে সেই কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। সেই মামলা গড়িয়েছিল উচ্চ আদালতে। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই হাইকোর্ট জানাল, ঘুম অধিকার। এই ঘটনায় কর্মীর কোনও ভুল খুঁজে পায়নি আদালত। এরই সঙ্গে সব কর্মীর 'ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালেন্সে'র বিষয়টি মনে করিয়ে দেন বিচারপতি। (আরও পড়ুন: তুষারধসে আটকে পড়লেন BRO-র ৫৭ শ্রমিক, উদ্ধারকাজে নামল সেনা এবং ITBP)
আরও পড়ুন: নিম্নমুখী সেনসেক্সে পকেট ফুটো বিনিয়োগকারীদের, 'হাওয়া' ৭ লাখ কোটির বেশি
আরও পড়ুন: টানা দ্বিতীয় দিন দাম কমল সোনার, আজ কলকাতায় কততে বিকোচ্ছে হলুদ ধাতু?
জানা গিয়েছে, কর্মী সংখ্যা কম থাকায় টানা ৬০ দিন ধরে কোনও ছুটি না নিয়ে প্রতিদিন ডবল শিফট (১৬ ঘণ্টা) কাজ করছিলেন চন্দ্রশেখর নামক কেকেআরটিসি কনস্টেবল। এই আবহে তিনি এর মাঝে একদিন কাজের সময়তে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। তাঁর ঘুমের একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়েছিল। এই আবহে ২০২৪ সালের ১ জুলাই চন্দ্রশেখরকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। সেই মামলার জল গড়ায় হাইকোর্টে। এবং উচ্চ আদালত বলে, সংশ্লিষ্ট কর্মীর ওপরে যে অতিরিক্ত কাজের চাপ ছিল, তা সংস্থা মেনে নিয়েছে। এই আবহে মামলাকারীর দোষ দেখতে পাননি বিচারপতি। (আরও পড়ুন: শেষ পর্যন্ত কি সত্যি হল আশঙ্কা? EPFO-র সুদের হার চূড়ান্ত করল বোর্ড)
আরও পড়ুন: দ্বিধায় ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর ইঞ্জিনিয়াররা, হাওড়া-সল্টলেক পরিষেবা চালু হতে পারে…
আরও পড়ুন: মমতার 'প্রিয়' নীল-সাদা রঙ নিয়ে রাজ্যকে হলফনামা পেশের নির্দেশ হাইকোর্টের
বিচারপতি এম নাগাপ্রসন্ন সাসপেনশনের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়ে বলেন, 'আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠনের অংশ ভারত। এই আবহে ভারতে সপ্তাহে সর্বাধিক ৪৮ ঘণ্টা কাজ করার বিধান আছে। দৈনিক শিফট ৮ ঘণ্টার অধিক হতে পারে না। শুধুমাত্র বিশেষ জরুরি ক্ষেত্রে এর বদল হতে পারে।' এদিকে জানা গিয়েছে, চন্দ্রশেখর যে ডিপোতে কাজ করতেন, সেখানে সব মিলিয়ে ৩ জন কনস্টেবলই ছিলেন। এই আবহে সবার ওপর কাজের অতিরিক্ত চাপ পড়েছিল। এই আবহে আদালত স্পষ্ট করে দিয়েছে, চন্দ্রশেখর যদি একটি শিফটের জন্যে নিযুক্ত থাকতেন, এবং সেই সময় তিনি ঘুমিয়ে পড়তেন, তাহলে সেটা তাঁর দোষ হত। তবে বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে তিনি দোষী নন।