বাংলাদেশে অস্থিরতা তৈরি হওয়ার পর থেকেই ভারতে অনুপ্রবেশের নানা অভিযোগ উঠতে শুরু করে। বিজেপি নেতা–মন্ত্রী–সাংসদরা এই অভিযোগ তুলে নানা সময়ে চিঠি লিখেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে শুরু করে বিদেশমন্ত্রকে। এখন বাংলাদেশেꦕর পরিস্থিতি আগের থেকে অনেকটা স্বাভাবিক হয়েছে। অন্তবর্তী ইউনুস সরকার শান্তি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যেই দুর্গাপুজোর প্রাক্কালে ওপার বাংলা থেকে এপার বাংলায় এসে পৌঁছেছে পদ্মার ইলিশ। এই আবহে এবার জঙ্গলমহলের জেলাগুলিতে আবার নতুন করে অনুপ্রবেশের অভিযোগ তুলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখলেন বিজেপি সাংসদ।
আজ, সোমবার পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো চিঠি লিখেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। সেই চিঠিতে বিজেপি সাংসদের অভিযোগ, বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ আবার ঘটছে জঙ্গলমহলের জেলাগুলিতে। আর তাতে বদলে যাচ্ছে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুরের একাংশে🔯র সংস্কৃতি। চিঠিতে একাধিক নালিশ করেছেন বিজেপি সাংসদ। দুর্গাপুজোর প্রাক্কালে এমন অভিযোগপত্র পাঠানো বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। কিন্তু সীমান্ত তো বিএসএফ দেখে। তাহলে অনুপ্রবেশ ঘটছ꧟ে কেমন করে? উঠছে প্রশ্ন। সীমান্তে কড়া নজর রাখতে নির্দেশ দিয়েছিলেন অমিত শাহ।
আরও পড়ুন: সাগর দত্ত হাসপাতালে এবার থেকে চালু হচ্ছে নয়া নিয়ম, প্রবেশ করতে মানতে হবে বিধি
বিএসএফ–কে কড়া নজর রাখতে বলার পরও অনুপ্রবেশের অভিযোগ নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। তাহলে কি বিএসএফের নজরদারিতে গাফিলতি আছে? এই প্রশ্নও এখন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো এবার চিঠিতে অমিত শাহকে নালিশ করেছেন, এই অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেই চলেছে। তার জেরে জঙ্গলমহলে এখন অপরাধ বাড়ছে। অসহিষ্ণুতাও বাড়ছে। জঙ্গলমহল–সহ গোটা রাজ্যের নিরাপত্তা নিয়ে🌜 যথাযথ পদক্ষেপ করার অনুরোধ করা হয়েছে। সীমান্তের নিরাপত্তা আরও জোরদার করার আর্জি জানানো হয়েছে চিঠিতে। রাজ্য ⛄সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সাংসদ।
এই চিঠি পাঠানোর ঘটনা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। কারণ এমন চিঠি আগেও পাঠানো হয়েছে। ভুয়ো অভিযোগও করা হয়েছে। যার খেসারত দিতে হয়েছিল উত্তর কলকাতা থেকে শুরু করে সন্দেশখালিতে। আর তাছাড়া এই ধরনের অভিযোগ বিরোধী রাজনৈতিক দল শাসক রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে নানা সময়ই করে থাকে। তবে এটাও দেখার যে সত্যি কোনও রাজ্যের বা দেশের সুরক্ষা ব্য়বস্থার সঙ্গে আপস করা𓆉 হচ্ছেܫ কিনা। যদি হয় তাহলে দ্রুত পদক্ষেপ করা উচিত। এসব ক্ষেত্রে দেশের যে কোনও সাধারণ মানুষ বা জনপ্রতিনিধি গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন।