ছেলের হাতে খুন বাবা। জ্যেঠার পচা গলা দেহ উদ্ধার হল সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে। ঘটনায় তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কোচবিহারের ডাউয়াগুড়িতে। অভিযুক্ত প্রণবকুমার বৈশ্য পলাতক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। স্থানীয়দের দাবি, মত্ত অবস্থায় বাবা ও জ্যেঠাকে খুন করেছেন যুবক।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ডাউয়াগুড়ির বৈশ্যপাড়ার বাসিন্দা প্রণব মাঝেমাঝেই নেশা করে বাবার সঙ্গে ঝামেলা করতেন। রবিবার রাতেও ঝামেলা হয়। আওয়াজ পান প্রতিবেশীরা। সকালে তাঁরা দেখেন বাড়ি নিস্তব্ধ। তবে বারান্দায় রক্তের দাগ দেখতে পান তাঁরা। এর পরই পুলিশকে খবর দেয় এলাকাবাসী। পুলিশ বাড়িতে পৌঁছে ঘরের শো-কেস থেকে কম্বল মোড়ানো অবস্থায় প্রণব বৈশ্যের বাবা বিজয় বৈশ্যের দেহ উদ্ধার করে। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠান আধিকারিকরা।
এর পর স্থানীয়রা জানান বিজয়বাবুর খুড়তুতো দাদা গোপাল রায় তাঁর সঙ্গে থাকতেন। মাস খানেক ধরে তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। গোপালবাবুর খোঁজে বাড়িতে তল্লাশি শুরু করেন স্থানীয়রা। তখন বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে তাঁর পচা গলা দেহ উদ্ধার হয়।
এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুলিশ সুপার দ্যূতিমান ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, দেহ ২টি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত প্রণব বৈশ্য পলাতক। তাঁর খোঁজ করা হচ্ছে। অভিযুক্তকে পেলে ঘটনার কারণ জানা যাবে। তবে স্থানীয়দের দাবি, মদ্যপান নিয়ে বচসার জেরেই বাবা ও জ্যেঠাকে খুন করেছে অভিযুক্ত প্রণব। অভিযুক্তের কঠোর সাজার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।