মাঝে আর এক সপ্তাহও বাকি নেই। তারপরই পালিত হবে এবছরের দোলযাত্রা (১৪ মার্চ, ২০২৫)। প্রথা মেনে তার পরদিনই থাকছে হোলি উৎসব। আর, তার পরের দিনটি হল রবিবার। অর্থাৎ - সপ্তাহান্তে সব মিলিয়ে টানা তিনদিনের (১৪ মার্চ - ১৬ মার্চ, ২০২৫) ছুটি!কী ভাবছেন এই ফাঁকে টুক করে দিঘা, মন্দারমণি কিংবা তাজপুর, শঙ্করপুর ঘুরে আসবেন? তা যেতেই পারেন। তবে, সাবধান উৎসবের মরশুমে সৈকতে মদ্যপান করা কিন্তু মোটে চলবে না। চলবে না মদ্যপ হয়ে ঘোরাঘুরি করার নামে অন্যদের বিরক্ত করা বা যেকোনও ধরনের অশালীন আচরণ করাও। তাহলেই কিন্তু ধরা পড়তে হবে পুলিশের হাতে!আসলে দোলের সময় সময় কলকাতার কাছাকাছি সৈকত শহরগুলিতে পর্যটকদের ভিড় নতুন কিছু নয়। কিন্তু, অনেক সময়েই অভিযোগ ওঠে, বেড়াতে আসা লোকজনের মধ্য়ে একটা অংশ আনন্দ-ফূর্তির নামে রীতিমতো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন। অন্যদের বিরক্ত করেন। এমনকী, নানা ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর বা অপরাধমূলক আচরণ করারও অভিযোগ ওঠে।এই ধরনের বিশৃঙ্খলাকারীদের রুখতে তাই আগেভাগেই সতর্ক রয়েছে স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন। দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের কার্যনির্বাহী আধিকারিক অপূর্বকুমার বিশ্বাসকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছে, দোল-হোলির সময়টায় সৈকতে বিশেষ নজরদারি চালানো হবে। যাতে কেউই মদ্যপান করেন সমুদ্রে না নামেন, সেদিকে কঠোরভাবে খেয়াল রাখা হবে।তথ্যাভিজ্ঞ মহল বলছে মত্ত অবস্থায় সমুদ্রে নামলে বড় কোনও অঘটন পর্যন্ত ঘটতে পারে। তেমনটা যাতে না ঘটে, সেই বিষয়ে সতর্ক থাকবে পুলিশ ও প্রশাসন। দিঘা মোহনা থানার ওসি অরুণকুমার পতিকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছে, ওই দিনগুলিতে অন্যান্য সময়ের তুলনায় নজরদারি কড়া থাকবে।এদিকে, দিঘা শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চট্টোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এবার দোল-হোলির মরশুমে তাঁরা ভালো ব্যবসা পাবেন বলেই আশা করছেন। কারণ, ইতিমধ্যেই প্রায় ৬৫ শতাংশ হোটেল বুকিং সারা হয়ে গিয়েছে।আগামী ৩০ এপ্রিল দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন করা হবে। তার আগেই অনেকে যতটা কাছ থেকে সম্ভব বাইরে থেকেই মন্দির দর্শন করতে চাইছেন। এছাড়াও, মানুষের মধ্য়ে দিঘা নেচার পার্ক নিয়েও অত্যন্ত উৎসাহ রয়েছে। ফলত, উৎসবের আবহে টানা তিনদিন দিঘায় পর্যটকদের ভিড় ভালোই থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।