আরজি✤ কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। তারপরই এই হাসপাতালের দুর্নীতি সামনে এসেছে। এমনকী দুর্নীতির অভিযোগে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। ইডি হানা দিতে শুরু করেছে তাঁর বাড়িতে। আর এই ঘটনা নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে বারবার প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী দলগুলি। এবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করলেন পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। এবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে গ্রেফতারের দাবি জানালেন রাজ্যের এই বিজেপি সাংসদ।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এবার গ্রেফতার করার দাবিতে ইডি অধিকর্তাকে চিঠি লিখলেন বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। যা এককথায় বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। এই আবহে এমন চিঠি পাঠানোয় সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য–রাজ🔯নীতি। পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ দাবি করেছেন, আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় ইডি 🏅পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করলে হাসপাতাল দুর্নীতি কাণ্ডে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের জড়িত থাকার স্পষ্ট প্রমাণ মিলবে। আর তখন ইডির হাতে গ্রেফতার হবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সাংসদ নিজের এক্স হ্যাণ্ডেলে লিখেছেন, ‘আরজি কর হাসপাতালের দুর্নীতিতে সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও গ্রেফতার করুন।’
তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ–খুনের ঘটনায় দোষীর শাস্তির দাবিতে ধরনায় বসেছে বিজেপি। শহর থেকে জেলায় লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে বিজেপি। এবার ইডির কাছে লিখিত চিঠি দিয়ে আরজি কর হাসপাতালের দুর্নীতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতারের আর্জি জানালেন সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাত। এই খবর নিজের এক্স হ্যা𝔍ন্ডেলে পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘ইডির কাছে অনুরোধ আরজি কর হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতি কাণ্ডে সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে মমতা বন্দ্য🐎োপাধ্যায়ও জড়িত রয়েছে। তদন্তের সাপেক্ষে তাঁকেও হেফাজতে নেওয়া হোক। ক্ষমতার অপব্যবহার করা হয়েছে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে। মানুষ বিচার চায়।’
আরও পড়ুন: ‘থ্রেট কালচার’ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজেও, প্রাক্তনীদের অভিযোগে তুমুল আলোড়ন
আজ, সোমবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর হাসপাতালের মামলার শুনানি রয়েছে। আর এই দিকে গোটা দেশ তাকিয়ে আছে। সিবিআই তদন্♏তভার গ্রহণ করার পর একমাস কেটে গিয়েছে। কিন্তু জাস্টিস আসেনি। তার মধ্যেই রাত দখল, ভোর দখল–সহ 🍸নানা প্রতিবাদ আন্দোলন হয়ে চলেছে রাজপথে। এই আবহে বিজেপি সাংসদ বলেন, ‘বাংলায় যে কোনও দুর্নীতি খাদ্য, শিক্ষা–সহ আরও নানা কিছুর ক্ষেত্রেই রাজ্যবাসী দেখেছে সেই দফতরের মন্ত্রীর নাম জড়িয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রীর হাত ছাড়া আরজি কর হাসপাতালের মতো এত বড় দুর্নীতি হওয়া সম্ভব নয়। আর সন্দীপ ঘোষের এত বিপুল সম্পত্তির পরিমাণ মাথায় প্রভাবশালীর হাত ছাড়া সম্ভব নয়।’