꧟ নববর্ষে সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজ্যবাসীকে ‘শুভনন্দন’ জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার সেই শুভেচ্ছাবার্তাকে পালটা টুইটে তীব্র কটাক্ষে বিদ্ধ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একই সঙ্গে পয়লা বৈশাখকে ‘বাংলা দিবস’ ঘোষণা করায় মমতাকে তীব্র আক্রমণ করেছেন তিনি।
ꦺএদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেন্দুবাবু লেখেন, ‘রোম যখন পুড়ছিল, সম্রাট নিরো তখন বাঁশি বাজাচ্ছিলেন ! রাজ্যে যখন সাম্প্রদায়িক হিংসার আগুন জ্বলছে, আপনিও গান গাইবেন সেটাই স্বাভাবিক... তবে গানের সুরটা বেসুরো হয়ে গেলো ! নাগরিকদের 'শুভনন্দন' জানানোর আগে যে সকল 'বরাহ-নন্দন' দাঙ্গা করছে, সরকারি সম্পত্তি পোড়াচ্ছে, খুন করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করলে রাজ্যে নাগরিকরা নিজেদের সুরক্ষিত মনে করতো।’
♍মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাস স্মরণ করিয়ে তিনি লেখেন, ‘আর বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে পশ্চিমবঙ্গ কে ভারতবর্ষে অন্তর্ভুক্ত করার প্রচেষ্টার জন্য শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের অবদান অনস্বীকার্য। ওনার ঐতিহাসিক উদ্যোগের ফলে ১৯৪৭ সালের ২০শে জুন তারিখে বঙ্গীয় প্রাদেশিক আইনসভায় ভোটাভুটির মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়েছিল। তাই ২০শে জুন তারিখেই 'পশ্চিমবঙ্গ দিবস' পালিত হবে। আর ইতিহাস মুছে ফেলার আপনার অভিপ্রায় কখনো পূরণ হবে না, রাজ্যের নাম পশ্চিমবঙ্গই থাকবে, কারণ 'পশ্চিম' শব্দটা রক্তাক্ত ইতিহাসের স্মৃতি বহন করে, যা আপনি ভুলিয়ে দিতে চাইছেন, কিন্তু বিদ্রুপাত্মকভাবে আপনার রাজনৈতিক কর্মকান্ড সেই বেদনাদায়ক অধ্যায়ের স্মৃতি আরও বেশি প্রাসঙ্গিক করে তুলছে আজকের দিনে। আগামী বছর থেকে পশ্চিমবঙ্গে সরকারি ভাবেই ২০শে জুন তারিখেই 'পশ্চিমবঙ্গ দিবস' পালিত হবে।’
🐽এর আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় এক শুভেচ্ছাবার্তায় মমতা লিখেছিলেন, ‘'আমি বাংলায় গান গাই...' ‘বাংলা দিবস’ – এ সকল নাগরিককে জানাই শুভনন্দন এবং ছোট ছোট ভাইবোনেদের জানাই অনেক শুভেচ্ছা। আরও বিকশিত হোক রাজ্যের ঐতিহ্যময় সংস্কৃতি, আরও সুদৃঢ় হোক রাজ্যবাসীর ভ্রাতৃত্ব-বন্ধন।'