বিচারব্যবস্থায় দীর্ঘসূত্রতার অভিযোগ নতুন কিছু নয়। বহু মামলা রয়েছে যেগুলি বছরের পর বছর ধরে চলছে। এরফলে মামলার পাহাড় জমছে আদালতগুলিতে। অনেক মামলাতেই বিচার পেতে পেরিয়ে যায় কয়েক দশক। আবার দীর্ঘদিন ধরে মামলা চলার ফলে বহু ক্ষেত্রে সাক্ষীরও মৃত্যু হয়। দীর্ঘসূত্রতার ফলে।অনেক ক্ষেত্রেই আইনের ফাঁক গলে জামিন পেয়ে যান অভিযুক্ত। এমন অবস্থায় মামলার দীর্ঘসূত্রতা কমাতে সাক্ষী তালিকা নিয়ে বিশেষ পদক্ষেপ করল কলকাতা পুলিশ। চার্জশিটে সাক্ষী তালিকা নিয়ে একটি গাইডলাইন চালু করেছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা। তাতে কাদের সাক্ষী তালিকায় রাখা উচিত বা রাখা যাবে না সে বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে।
আরও পড়ুন: গাড়ির মালিকানা পরিবর্তন না হলেই বিপদে পড়তে পারেন পুরনো মালিকরা, বার্তা পুলিশের
লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার এই গাইডলাইন চালু করেছেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার। তাতে বলা হয়েছে, অবাঞ্ছিত ব্যক্তিদের সাক্ষী তালিকায় রাখা যাবে না। সরাসরি প্রত্যক্ষদর্শী নয়, এমন ব্যক্তিদের সাক্ষী তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। এছাড়া, চার্জশিট পেশের আগে অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার বা ডিসিরা ভালো করে সাক্ষীর তালিকা খতিয়ে দেখবেন। এরপর আদালতে চার্জশিট পেশ করতে হবে।
লালবাজার সূত্রে জানা যাচ্ছে, এরকম বহু মামলা রয়েছে যেগুলিতে সাক্ষীর সংখ্যা বেশি থাকার কারণে মামলার দীর্ঘসূত্রতা বেড়েছে, অথবা অভিযুক্ত জামিন পেয়ে গিয়েছেন। যেমন একবালপুরে মা ও দুই মেয়ে খুনের মূল অভিযুক্ত জামিন পেয়েছেন, ২০১১ সালে বালিগঞ্জে জোড়া খুনের মামলাতেও অভিযুক্ত জামিন পেয়েছেন, আবার লেক থানা এলাকায় জোড়া খুনের ঘটনাতেও অভিযুক্ত জানেন পেয়েছেন। এই সমস্ত কারণে এই গাইডলাইন জারি করেছেন পুলিশ কমিশনার।