অক্সফোর্ডে মমতা বন্দ্যোꦬপাধ্য়ায়ের বক্তৃতা ভেস্তে দিতে অপচেষ্টা করা হবে! আগে থাকতেই এমন একটা 'ভবিষ্যদ্বাণী' করেছিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। সেই তিনিই আরও একটি সতর্কবার্তা দিয়েছেন! এবং সেই বার্তা দেওয়া হয়েছে সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আয়োজিত হতে চলা বৈঠক নিয়ে। যে বৈঠকে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে এক লহমায় 'বেকার' হয়ে যাওয়া রাজ্য সরকারি শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী ও অশিক্ষক কর্মচারীরা থাকবেন। আর থাকবেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
কুণালের দাবি, এ♊ই বৈঠক ভেস্তে দেওয়ার চক্রান্ত করছে রাজ্য়ে𒐪র বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। যাতে সমস্য়ার বিকল্প সমাধানসূত্র অধরাই থেকে যায় এবং রাজনৈতিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেস তার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
কুণালের 'ভবিষ্যদ্বাণী', সোমবারের ওই মিটিংয়ে 'গ্রুপ করে লোক ঢোকানো হতে পারে!' যাঁদের নাকি উদ্দেশ্যই হবে - বৈঠক ভেস্তে দেওয়া! কুণাল তাই💎 সমস্ত চাকরিহারাকে সতর্ক করেছেন, যাঁরা সোমবারের বৈঠকে যাবেন। তাঁর বার্তা, কেউ এই ধরনের কো𓂃নও অশান্তিতে লিপ্ত হবেন না। প্রশাসনের সবদিকে সতর্ক নজর থাকবে। বৈঠক ভণ্ডুল করতে চাইলেই সংশ্লিষ্টরা প্রশাসনের নজরে ধরা পড়ে যাবেন!
কুণালের বিশ্বাস, সোমবারের বৈঠকে যদি খোলাখু🌞লি আলাপ-আলোচনা হয়, তাহলে তার মধ্য়ে দিয়ে অবশ্যই কোনও না কোনও সমাধানসূত্র নিশ্চিত বেরিয়ে আসবে। কিন্তু, তার জ🌠ন্য সকলকে সচেতন থাকতে হবে।
লক্ষ্যণীয় বিষয় হল, এই প্রেক্ষাপটে 'যোগ্য' চাকরিহারারা হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন, মমতার বৈঠকে 'অযোগ্⛦য'রা ঢুকলেই বৈঠক ভেস্তে দেবেন তাঁরা! এখন প্রশ্ন উঠতেই পারে, প্রায় ২৬ হাজার চাকরিহারার মধ্যে সকলের পক্ষে কি সকলের মুখ চিনে রাখা সম্ভব? তাহলে কীভাবে 'অযোগ্য'রা মমতার বৈঠকে ঢুকলেই 'যোগ্যরা' তাঁদের চিনে নেবেন?
এদিকে, আবার চাকরিহারাদের একটা বড় অংশই সোজাসুজি রাজনৈতিক দলগুলিকে বার্তা দিয়েছেন, তাঁরা তাঁদের এই অসহায়তা নিয়ে কোনও রাজনীতি কাউকে করতে দেবেন না। তাঁরা 🐈যে বিপদে পড়েছেন, সেই বিপদ থেকে বেরোনোর পথ না বের করতে প🐻ারলে, তাঁরা রাজ্যের ভোটে কোনও রাজনৈতিক দলকেই লড়ার সুযোগ দেবেন না বলে স্পষ্ট করে দিয়েছেন।
এখানেই শেষ নয়।🀅 চাকরিহারাদের একটা অংশ প্রশ্ন তুলছেন - যেখানে কথায় কথায় মাটি খুঁড়ে ৫০০ বছরের আগের স্থাপত্য খোঁজা হয়, সেখানে মাত্র কয়েকবছর আগে ঘটে যাওয়া একটি দুর্নীতিতে যোগ্য ও অযোগ্যদের আলাদা করা গেল না? এটা কীভাবে হল? তাঁরা একাধারে কাঠগড়ায় তুলেছেন রাজ্য সরকার, এসএসসি, সিবিআই-কে। যেখানে একজন নির্দোষ ব্যক্তিকেও সাজা না দেওয়া ভারতীয় বিচারব্যবস্থার অন্যতম প্রধান আদর্শ, সেখানে হাজার হাজার নিরপরাধ মানুষের উপর কেন এভাবে শাস্তির খাঁড়া নেমে এল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন চাকরিহারারা।
অর্থা♔ৎ - সব মিলিয়ে প্রেক্ষাপট ও ဣপরিস্থিতি যথেষ্ট গুরুতর এবং সংবেদনশীল। শোনা যাচ্ছে, এই অবস্থাতেই সোমবার শুভাপ্রসন্ন ভট্টাচার্য, আবুল বাশারের মতো বিশিষ্টদের পাশে নিয়ে নেতাজি ইন্ডোরের বৈঠকে যোগ দেবেন মমতা। সেই বৈঠকে পূর্ণ বক্তব্য পেশ করবেন চাকরিহারাদের দু'জন প্রতিনিধি। এছাড়াও, চাকরিহারারা সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করতে পারবেন। মুখ্যমন্ত্রী সেইসব প্রশ্নের জবাবও দেবেন। গোটা বিষয়টি নিয়ে আলাপ-আলোচনা করা হবে। সম্ভাব্য সমস্ত সমাধানসূত্র নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করা হবে।