এক উত্তাল পরিস্থিতি দেখেছে এলাকার বড় রাস্তা থেকে গলি। উত্তেজনা, অগ্নিসংযোগ, সংঘাতের মাঝে, অনেকের কাছেই নিজের চোখের সামনে, নিজের চেনা এলাকা কেমন যেন অস্থির, অচেনা হয়ে যাচ্ছিল। আতঙ্ক বুকে নিয়ে অনেকেই ঘর ছেড়েছেন। স্বজনহারার কান্নায় ভেঙে পড়েছেন অনেকেই। বহ🧔ু মানুষের সমস্ত সম্বল দিয়ে তৈরি দোকানপাট কার্যত ক্ষতিগ্রস্ত। কেমন আছে মুর্শিদাবাদ? জেলার সমসেরগঞ্জের কয়েকজন মুখ খুলেছেন সংবাদ সংস্থা এএআইএর সামনে। কী বললেন তাঁরা?
সদ্য মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যের এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) জাভেদ শামিম বলেছেন, যাঁরা অশান্তির নেপথ্যে, তাঁদের 'পাতাল থেকেও খুঁজে বের করা হবে'। তিনি বলছেন,'যত বেশি গুজব ছড়াবে, ততক্ষণ পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া খুব কঠিন। মানসিক অস্থিরতা আগে কমানো দরকার।' এমন এক পরিস্থিতিতে মুর্শিদাবাদ ধীরে ধীরে ছন্দে ফেরার দিকে তাকিয়ে। আর তা করতেই বেশ কিছু কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই মুর্শিদাবাদে নেমেছে বিএসএফ। রাজ্যের ২৩ দক্ষ পুলিশ অপিসারকে সেখানে ‘বিশেষ ডিউটি’তে পাঠানো হয়েছে। ওয়াকফ আইনের বিরোধিতা দিয়ে শুরু এক বিꦉক্ষোভ ঘিরে মুর্শিদাাদের সমসেরগঞ্জ, ধুলিয়ান সহ বহু জায়গা তপ্ত হয়। কী পরিস্থিতি সেখানে? মুখ খুলেছেন বহু স্থানীয় বাসিন্দা।
এলাকার এক বাসিন্দা বলছেন একটি ওষুধের দোকান রয়েছে। তিনি বলছেন,' আমার ওষুধের দোকান। বহু পুরনো দোকান আমাদের। আমরা সেই সময় দেখতে আসিনি। টিভিতে দেখছিলাম। কে করেছে, না করেছে জানি না। কাল এসে দেখি, দোকান জ্বালিয়েছে। তালা ভাঙার চেষ্টা করেছিল কিন্তু পারেনি। আশপাশে ডাক্তারের চেম্বার।' তিনি বলছেন,'আমাদের এখানে সকলের খুবই মিলমিশ, এটা বাইরের লোকের কাজ।' এলাকার আরও এক স্থানীয় বলছেন, ‘ আমার তো সব ড্যামেজ করে দিয়েছে। কিছু নেই আর। এবার প্রশাসনের ভরসায়, যদি সাহায্য করে তাহলে দোকান খুলতে পারব। নয়তো আমার কিছু সম্বল নেই। ঋণ নিয়ে দোকান করেছ✤িলাম। ৬-৭ লাখ টাকার সামগ্রী ছিল, সব বের করে জ্বালিয়ে দিয়েছে।’ তিনি বলছেন,' বিএসএফ চলে গেলে কী হবে জানি না। একটা বিএসএফের ক্যাম্প চাই।' তিনি বলেন, ‘বি꧑এসএফ আসার পর আমরা ঘর থেকে বের হতে পেরেছি।’ তিনি বলছেন,'শান্তি চাই'।