Praveen Kumar on ball-tampering: ক্রিকেটে ফাস্ট বোলারদের একটি বিপজ্জনক অস্ত্র হল রিভার্স সুইং, যা পুরানো বলে ব্যাটসম্যানদের সমস্যায় ফেলতে কাজ করে। এই বিশেষ কৌশলটি শুরু করেছিলেন পাকিস্তানের ফাস্ট বোলাররা, যারা প্রাণহীন পিচেও এটি ব্যবহার করে উইকেট নিতে পারতেন। কিন্তু এটা শেখা সহজ নয়, সকলে এটা করতে পারে না। রিভার্স সুইং নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বাইশ গজের একটি বড় সত্য প্রকাশ করেছেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন বোলার প্রবীণ কুমার। তাঁর বক্তব্য প্রত্যেক দলের বোলাররাই বলকে কিছুটা টেম্পার করত। তবে, তিনি বলেছিলেন যে পাকিস্তানের বোলাররাই এটি সবচেয়ে বেশি করতেন।
লালনটপের শো ‘গেস্ট ইন দ্য নিউজরুম’-এ সাংবাদিক সৌরভ দ্বিবেদীর সঙ্গে কথা বলার সময় প্রবীণ কুমার সম্ভবত বাইশ গজের সবচেয়ে বড় সত্যটা সকলের সামনে তুলে ধরছন। এখানে তিনি রিভার্স সুইং পেতে বোলাররা কী করতেন তার কথা বলা হয়েছে। তাঁর বক্তব্য প্রত্যেক দলের বোলাররাই বলকে কিছুটা ট্যাম্পার করত। তবে, তিনি বলেছিলেন যে পাকিস্তানের বোলাররাই এটি সবচেয়ে বেশি করতেন।
বল ট্যাম্পারিং নিয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রবীণ কুমার বলেন, ‘সকলেই এটা একটু একটু করে। তবে তারা (পাকিস্তান বোলাররা) এটা একটু বেশি করে। আমি যা শুনেছি সেটাই বলছি। এখন, সব জায়গায় ক্যামেরা আছে। আগে তো সবাই এটা করত। এবং সবাই জানত। তারা এটা স্ক্র্যাচ করবে। একদিক থেকে, তবে সেই দক্ষতা কীভাবে ব্যবহার করতে হয় তাও একজনকে জানতে হবে। আমি যদি বলটি স্ক্র্যাচ করে কাউকে হাতে তুলে দি, তাঁর কিন্তু অবশ্যই এটিকে রিভার্স-সুইং করানোর দক্ষতা থাকতে হবে। একজনকে এটি শিখতে হবে।’
আমরা যদি প্রবীণ কুমারের কথা বলি, ২০০৭ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ওডিআই অভিষেকের পর, তিনি ভারতের হয়ে ৬টি টেস্ট, ৬৮টি ওডিআই এবং ১০টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। এই ৩৭ বছর বয়সি বোলার ২০০৮ কমনওয়েলথ ব্যাঙ্ক ট্রাই-সিরিজে অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে চার ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়ে বিদেশে ভারতকে ঐতিহাসিক জয় এনে দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। এছাড়াও মিরাটে জন্মগ্রহণকারী এই ক্রিকেটারের ছয়টি টেস্ট ম্যাচে ২৭টি উইকেট শিকার করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে লর্ডসের ঐতিহাসিক মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫/১০৬ রানের সেরা পারফরম্যান্স।
ভারতের প্রাক্তন পেসার প্রবীণ কুমার একটি দীর্ঘ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন যাতে তিনি বেশ কিছু কথা প্রকাশ করেছেন। প্রাক্তন ভারতীয় পেসার যিনি মিরাটের বাসিন্দা, তিনি ইনজুরির কারণে ২০১১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলতে পারেননি। তার স্থলাভিষিক্ত হন এস শ্রীসন্থ যিনি বিশ্বকাপ জয়ী পদক নিয়ে গর্ব করতে পেরেছিলেন। অধিনায়ক এমএস ধোনির অধীনে ভারতের সিবি সিরিজ জয়ে নতুন বলের বোলার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।