ཧ উদ্বোধনী ম্যাচে কার্যত একতরফাভাবে হারতে হয়েছিল ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের কাছে। তবে নিজেদের দ্বিতীয় লিগ ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়াল লাহোর কালান্দার্স। সউদ শাকিলের কোয়েট্টা গ্ল্যাডিয়েটর্সকে হারিয়েই সোজা লিগ টেবিলের শীর্ষে উঠলেন শাহিন আফ্রিদিরা।
𒐪রবিবার রাওয়ালপিন্ডিতে চলতি পাকিস্তান সুপার লিগের চতুর্থ লিগ ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে লাহোর ও কোয়েট্টা। টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে লাহোর। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ২১৯ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে।
💫ঝোড়ো হাফ-সেঞ্চুরি করেন ওপেনার ফখর জামান ও ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নামা উইকেটকিপার স্যাম বিলিংস। ফখর ৩৯ বলে ৬৭ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন। তিনি ৭টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। বিলিংস ১৯ বলে ৫০ রানের ধুমধাড়াক্কা ইনিংস খেলে নট-আউট থাকেন। তিনি ৪টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন।
𝓡আরও পড়ুন:- শেষ ওভারে পরপর ৪টি ছক্কা, স্টইনিসের হাতে বেধড়ক মার খেয়ে IPL-এ লজ্জার নজির শামির
🍒এছাড়া আবদুল্লা শফিক ২১ বলে ৩৭ রান করেন। তিনি ৬টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ২৩ বলে ৩৭ রান করেন ডারিল মিচেল। তিনি ৪টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। মহম্মদ নইম ১০, সিকন্দর রাজা ৬, শাহিন আফ্রিদি ৩ ও রিশাদ হোসেন অপরাজিত ১ রানের যোগদান রাখেন।
𝓀কোয়েট্টার হয়ে ২টি করে উইকেট নেন আকিল হোসেন ও আবরার আহমেদ। ১টি করে উইকেট দখল করেন ফহিম আশরাফ ও উসমান তারিক। ১ ওভারে ১৬ রান খরচ করেও উইকেট পাননি শোয়েব মালিক। মহম্মদ আমির ৪ ওভারে ৪৬ রান খরচ করেও উইকেটহীন থাকেন।
𒁏আরও পড়ুন:- ৫০ বলে ৪০ রান, আউট হয়েছেন ৫ বার, ২৭ কোটির প্রাইস ট্যাগ ঋষভ পন্তের কাঁধে কি বড্ড ভারি?
দাপুটে জয় লাহোর কালান্দার্সের
🤪পালটা ব্যাট করতে নেমে কোয়াট্টা গ্ল্যাডিয়েটর্স শুরু থেকেই নিয়মিত অন্তরে উইকেট খোয়াতে থাকে। তারা ১৬.২ ওভারে ১৪০ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ৭৯ রানের বড় ব্যবধানে ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলের এক নম্বরে উঠে আসে লাহোর।
🌄কোয়েট্টার হয়ে সব থেকে বেশি ৪৪ রান করেন রিলি রসউ। ১৯ বলের ইনিংসে তিনি ৪টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন। ১৪ বলে ২৮ রান করেন কুশল মেন্ডিস। তিনি ৩টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। সউদ শাকিল ১, হাসান নওয়াজ ১, শেয়েব মালিক ১৪, আকিল হোসেন ১৩, ফহিম আশরাফ ২১, মহম্মদ আমির ১, আবরার আহমেদ ৬ ও উসমান তারিক ৫ রান করেন। খাতা খুলতে পারেননি ফিন অ্যালেন।
বল হাতে চমক বাংলাদেশের রিশাদের
ꦬলাহোরের হয়ে বল হাতে চমক দেন বাংলাদেশের রিশাদ হোসেন। তিনি ৪ ওভারে মাত্র ৩১ রান খরচ করে ৩টি উইকেট তুলে নেন। এছাড়া ২টি করে উইকেট নেন শাহিন আফ্রিদি, আসিফ আফ্রিদি ও সিকন্দর রাজা। ১টি উইকেট নেন হ্যারিস রউফ। ম্যাচের সেরা হন ফখর জামান।