ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জিম্বাবোয়ের চার দিনের নটিংহ্যাম টেস্ট শেষ হওয়ার কথা ছিল ২৫ মে অর্থাৎ রবিবার। তবে জিম্বাবোয়ে তিন দিনেই ম্যাচ হেরে বসে। সিকন্দর রাজা ট্রেন্ট ব্রিজের দ্বিতীয় ইনিংসে ৬০ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, রবিবার পিএসএলের ফাইনাল ম্যাচ ছিল সিকন্দর রাজার ফ্র্য়াঞ্চাইজি লাহোর কালান্দার্সের। নটিংহ্যামে বসেই পাকিস্তান সুপার লিগের ফাইনাল দেখার কথা ছিল সিকন্দর রাজার। তবে জিম্বাবোয়ের তারকা অল-রাউন্ডার পড়ে পাওয়া সুযোগ হাতছাড়া করতে রাজি ছিলেন না।
টসের পরে মাঠে পৌঁছেই নায়ক সিকন্দর রাজা
টসের আগে সরাসরি মাঠে পৌঁছে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে বুঝেই তিনি আগু-পিছু না ভেবে নটিংহ্যাম থেকে লাহোরের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেন। বন্ধুর গাড়ি করে সিকন্দর প্রথমে কাছের বিমানবন্দর বার্মিংহ্যামে পৌঁছন। সেখান থেকে লাহোরের বিমান নেই। এমনকি সব থেকে প্রথমে যে বিমানটি উপলব্ধ ছিল, তার বিজনেস ক্লাসের টিকিটও ছিল না। সিকন্দর রাজা ইকনমি ক্লাসের টিকিট কেটে দুবাই উড়ে যান।
৬ ঘণ্টার ব্যবধানে তিনি আরও একটি বিমানবন্দর বদল করেন। রাজা আবু ধাবি হয়ে লাহোরের একটি বিমানে চেপে বসেন। গদ্দাফি স্টেডিয়ামে লাহোর কালান্দার্সের ক্যাপ্টেন শাহিন আফ্রিদি যখন কোয়েট্টা গ্ল্যাডিয়েটর্সের বিরুদ্ধে টস করছেন, তখনও বিমানবন্দর থেকে স্টেডিয়ামের পথে সিকন্দর। শেষমেশ ম্যাচ শুরুর আগে মাঠে পৌঁছন সিকন্দর।
প্রবল জেট ল্যাগ নিয়ে শুধু মাঠে নামাই নয়, বরং লাহোরকে চ্যাম্পিয়ন হতে সাহায্য করেন সিকন্দর। প্রথমে ৪ ওভার বল করে ৪৩ রানের বিনিময়ে ১টি উইকেট নেন তিনি। পরে ২টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৭ বলে অপরাজিত ২২ রানের ইনিংস খেলে দলের জয় নিশ্চিত করেন রাজা। জিততে শেষ ৩ বলে ৮ রান দরকার ছিল লাহোরের। সিকন্দর রাজা একটি ছক্কা ও ১টি চার মেরে লাহোরের হাতে ট্রফি এনে দেন।
কোয়েট্টাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন লাহোর
রবিবার পিএসএল ফাইনালে শুরুতে ব্যাট করে কোয়েট্টা গ্ল্যাডিয়েটর্স নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ২০১ রান তোলে। হাসান নওয়াজ ৪৩ বলে ৭৬ রান করেন। তিনি ৮টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন। লাহোরের ক্যাপ্টেন শাহিন আফ্রিদি ৪ ওভারে ২৪ রান খরচ করে ৩টি উইকেট নেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে লাহোর কালান্দার্স ১৯.৫ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ২০৪ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। ৩১ বলে ৬২ রান করে অপরাজিত থাকেন কুশল পেরেরা। তিনি ৫টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন।