লোকসভা নির্বাচনের আজ প্রথম দফার ভোটগ্রহণ পর্ব চলছে। এই তিন কেন্দ্র হচ্ছে— কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার। সকাল থেকেই জোরকদমে পড়ছে ভোট। গতকাল রাত থেকে আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কোচবিহারের সেই শীতলকুচি। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ বিজেপি তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। এমনকী বিজেপি কর্মীকে হাঁসুয়ার কোপ দেওয়ার অভিযোগও করেছে তারা। এখানের গোঁসাইহাট পঞ্চায়েত এলাকায় বিজেপি কর্মীকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে তারা। তবে আজ, শুক্রবার ২৮৬ নম্বর বুথে আক্রান্ত হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা।
এদিকে অভিযোগ তোলা হয়েছে, হাঁসুয়ার কোপ মারা হয়েছে বিজেপি কর্মীর মাথায় এবং হাতে। এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। আতঙ্কে হাসপাতালে এসে কান্নায় ভেঙে পড়লেন জখম বিজেপি কর্মী। অশান্তির এপিসেন্টার আজ কোচবিহার। আর শীতলকুচিতে ভোট দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তার পরই বিজেপি কর্মীর মাথায় এবং হাতে হাঁসুয়ার কোপ দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। ওই বিজেপি কর্মীর অভিযোগ, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের দুই পঞ্চায়েত সদস্য ৪০–৫০ জনকে নিয়ে আমাকে মারতে এসেছিল। বিজেপি করি বলে বলছে পালা। বাঁচতে হবে তো! অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলাম।’
আরও পড়ুন: ‘মিঠুন চক্রবর্তী সুবিধাবাদী, পাল্টিবাজ, দলবদলু’, প্রথম দফাতেই কড়া আক্রমণ কুণালের
অন্যদিকে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তোলপাড় কাণ্ড ঘটে গিয়েছিল কোচবিহারের শীতলকুচিতে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল চারজনের। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল রাজ্য–রাজনীতিতে। এই ঘটনার পর তদন্ত চলছে। আর তৃতীয়বারের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এতকিছুর পরেও শীতলকুচির ক্ষত নিরাময় করা যায়নি। প্রত্যেক মুহূর্তে আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে সেখানকার বাসিন্দাদের। ভোট এলে এখন তাঁদের ভয় লাগে। আবার না চলে যায় তাজা প্রাণ। আর আজ, শুক্রবার লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ পর্বে আবার শীতলকুচিতে হিংসা ছড়িয়ে পড়ল।