শনিবার বাজেট পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এবারের বাজেটে মহাকাশের উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে মহাকাশ গবেষণা, স্যাটেলাইট প্রযুক্তি এবং মহাকাশ সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়ে ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গতবারের থেকে ৩৭২ কোটি টাকা বেশি অর্থ এবারের বাজেটে বরাদ্দ করল কেন্দ্র। গত বছরের বাজেটে ১৩০৪২.৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল মহাকাশ খাতে, ২০২৫-২৬ সালের বাজেটে তা বাড়িয়ে করা হল ১৩,৪১৬.২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: দেশ জুড়ে মেট্রোয় বরাদ্দ ৩১২৩৯ কোটি, 'টাকা কোনও বাধা নয়', বলছেন কলকাতার কর্তারা
উল্লেখ্য, ইসরোর চন্দ্রযান-৩ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করেছে। চাঁদের এই অঞ্চলে আগে কোনও দেশের মহাকাশযান অবতরণ করেনি। এছাড়াও, ইসরোর গগনযান প্রকল্পও রয়েছে। পাশাপাশি ইসরোর আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প রয়েছে। এই বিষয়টি মাথায় রেখেই বাজেটে ইসরোর জন্য আরও বরাদ্দ বাড়িয়েছে সরকার। এটি মহাকাশ গবেষণা এবং অভিযান উভয় ক্ষেত্রেই সাহায্য করবে।
এই বাজেটে ‘ন্যাশনাল জিওস্পেশিয়াল মিশন’ ঘোষণা করা হয়েছে। এটি ‘প্রধানমন্ত্রী গতি শক্তি’ উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত। এই মিশনের লক্ষ্য ভূমি রেকর্ডের আধুনিকীকরণ, নগর পরিকল্পনার উন্নতি করা এবং উপগ্রহ প্রযুক্তির মাধ্যমে অবকাঠামো উন্নয়নে সহায়তা করার জন্য স্থানীয় ভিত্তিক তথ্যকে আরও গ্রহণযোগ্য করে তোলা। এর ফলে মহাকাশ প্রযুক্তি বিভাগে ক্ষমতা আরও বলে মনে করছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। পাশাপাশি শুল্ক সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তকেও তাঁরা স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁদের মতে, মহাকাশ খাতে বাজেট বৃদ্ধির ফলে ভারতের মহাকাশ অভিযান আরও শক্তিশালী হবে। উদ্ভাবনী ক্ষমতাকে উৎসাহিত করে এবং বিশ্বে প্রতিযোগিতায় ভারত এগিয়ে যাবে। এছাড়াও ভারতের মহাকাশ পরিকাঠামো আরও উন্নত হবে বলে তাঁরা মনে করছেন।