অমানবিক-লজ্জাজনক ঘটনার সাক্ষী হল তামিলনাড়ুতে। ঋতুস্রাব হওয়ায় অষ্টম শ্রেণির এক দলিত ছাত্রীকে ক্লাসের বাইরে বসিয়ে পরীক্ষা দিতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে কোয়েম্বত্তূরে।আর এই গোটা ঘটনার জন্য অভিযোগ উঠেছে ওই বেসরকারি স্কুলেরও প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে♌।
আরও পড়ুন-Pakadwa Vivah:স্কুল যাওয়ার পথে অপহৃত শিক্ষক! বিহারে ফের পাকড়ওয়া✨ বিবাহ?
ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ক্লাসের বাইরে সিঁড়িতে বসে ছাত্রীর পরীক্ষা দেওয়ার ভিডিও। ১.২২ মিনিটের ভিডিওতে দেখা গেছে, ছাত্রীর দিকে ছুটে যাচ্ছেন তার মা। তিনি প্রশ্ন করছেন, কেন ক্লাসের বাইরে বসে আছে সে। তখন ছাত্রী জানায়, স্কুলের প্রিন্সিপাল তাকে ক্লাসের বাইরে বসে পরীক্ষা দিতে বলেছেন। এরপরেই মা বিরক্ত হয়ে প্রশ্ন করেন, কীভাবে একজন ছাত্রীকে তাঁর পিরিয়ডের সময় বাইরে বসে পরীক্ষা দিতে বাধ্য করা যায়? অন্যদিকে, এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই স্কুলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকেরা।তামিলনাড়ু স্কুল শিক্ষা দফতর ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে। স্কুল শিক্ষা বিভাগ কর্তৃপক্ষের কাছ কাছে এর ব্যাখ্যা চেয়েছে। এক আধিকারিক জানান, 'বেসরকারি স্কুল শিক্ষার পরিচালক ডঃ এম পালানিস্বামী ঘটনার ত🙈দন্ত করছেন। যদি কোনও অন্যায় প্রমাণিত হয়, তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।' সূত্রের খবর, গত ৭ এপ্রিলের ঘটনাটি ঘটে। অষ্টম শ্রেণির ওই পড়ুয়ার ঋতুস্রাবের কথা জানতে পারেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। ওই দিন বিজ্ঞান বিষয়ের পরীক্ষা ছিল। অভিযোগ, ছাত্রী ক্লাসরুমে ঢুকতে যেতেই তাকে বাধা দেওয়া হয়। স্কুল থেকে তাকে জানানো হয়, ক্লাসরুমে নয়, বাইরে বসে পরীক্ষা দিতে হবে। পরীক্ষা শেষে বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি জানায় ছাত্রী। পরের দিনও একই ভাবে বাইরে বসিয়ে পরীক্ষা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ছাত্রীর মা ভিডিও রেকর্ড করেন।
তামিলনাড়ুর স্কুল শিক্ষ💟ামন্ত্রীও আশ্বস্ত করেছেন যে শিশুদের বিরুদ্ধে যে কোন ধরণের নির্যাতনের জন্য সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে। এক্স বার্তায় তিনি বলেছেন, 'বেসরকারি স্কুলের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত করা হয়েছে। স্কুলের অধ্যক্ষকে বরখাস্ত করা হয়েছে। কোন ভাবেই শিশুদের উপর নির্যাতন সহ্য করা হবে না। প্রিয় শিক্ষার্থী, একা বসে থেকো না! আমরা এখানে আছি। আমরা এখানে থাকব।' ডিএ🏅মকে মুখপাত্র ডঃ সৈয়দ হাফিজুল্লাহ বলেছেন, কোয়েম্বত্তূরে ব্যতিক্রম এবং দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন-Pakadwa Vivah:স্কুল যাওয়ার পথে🐭 অপহৃত শিক্ষক! বিহারে ফের পাকড়ওয়া বিবাহ?
উল্লেখ্য, গত জানুয়ারিতে উত্তরপ্রদেশে একদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। কারণ পরীꦦক্ষার মাঝে আচমকা ঋতুচক্র শুরু হওয়ায় শিক্ষকদের কাছে স্যানিটারি ন্যাপক❀িন চেয়েছিল ওই কিশোরী।