কৈলাস ও মানস সরোবর যাত্রায় যেতে চাওয়া তীর্থযাত্রীদের জন্য বড় ঘোষণা করা হয়েছে। পাঁচবছর পর ফের শুরু হতে চলেছে কৈলাস ও মানস সরোবর যাত্রা। উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড় জেলা থেকে এই যাত্রা শুরু হবে।
তিব্বতের কৈলাস ও মানস সরোবর যাত্রা টানা পাঁচবছর বন্ধ থাকার পর এবছর (২০২৫ সাল) থেকে আবার শুরু হবে। বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই যাত্রার জন্য অনলাইন রেজিস্ট্রেশন শুরু করে দেওয়া হয়েছে। বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী জুন মাস (৩০ জুন) থেকে অগস্ট মাস পর্যন্ত চলবে কৈলাস ও মানস সরোবর যাত্রা।
এবছর ৫০ জন করে তীর্থযাত্রী তথা পর্যটকের মোট ১৫টি দল যাবে কৈলাস ও মানস সরোবর যাত্রায় যাবে। তীর্থযাত্রীদের পাঁচটি দল উত্তরাখণ্ডের লিপুলেখ পাস দিয়ে যাবে এবং বাকি ১০টি দল সিকিমের নাথু লা পাস দিয়ে যাবে। লিপুলেখ পাস দিয়ে যেতে সময় লাগবে ২২ দিন এবং নাথু লা পাস হয়ে যেতে সময় লাগবে ২১ দিন।
বিদেশ মন্ত্রকের তরফে কৈলাস ও মানস সরোবর যাত্রার জন্য kmvn.gov.in - ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন শুরু করে দেওয়া হয়েছে। একটি নিরপেক্ষ এবং সম্পূর্ণ কম্পিউটারচালিত নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আবেদনকারীদের মধ্য থেকে তীর্থযাত্রীদের নির্বাচন করা হবে।
ভ্রমণের খরচ সম্পর্কে ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে যে উত্তরাখণ্ড রুটের জন্য প্রায় ১,৭৪,০০০ টাকা এবং সিকিম রুটের জন্য যাত্রী পিছু ২,৮৩,০০০ টাকা নেওয়া হবে।
বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, অনলাইন আবেদন থেকে শুরু করে ভ্রমণার্থী বাছাই পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ কম্পিউটার দ্বারা নিরপেক্ষভাবে করা হবে। তাই এই সংক্রন্ত কোনও তথ্য পেতে আবেদনকারীদের চিঠি বা ফ্যাক্স পাঠানোর প্রয়োজন হবে না।
কৈলাস ও মানস সরোবরের তীর্থযাত্রীদের জন্যও আরও একটি স্বস্তির খবর এসেছে। উত্তরাখণ্ড হয়ে যাওয়া তীর্থযাত্রীদের আর হেঁটে যেতে হবে না। কারণ, লিপুলেখ পাস পর্যন্ত রাস্তা তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। শুধুমাত্র সীমান্ত পার হতে তীর্থযাত্রীদের প্রায় ১ কিলোমিটার হেঁটে পাড়ি দিতে হবে।
কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড় জেলার লিপুলেখ পাস থেকে শুরু হবে। যাত্রা শুরুর আগেই সরকারের পক্ষ থেকে সমস্ত প্রস্তুতি চূড়ান্ত করা হচ্ছে।
রাস্তাঘাট, স্বাস্থ্য পরিষেবা, বিদ্যুৎ, পানীয় জল সরবরাহ ইত্যাদির মতো প্রাথমিক পরিকাঠামোগুলির সংস্কার করা হয়েছে। যাত্রীদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে সদা সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। তবে, যাত্রাপথে অতিরিক্ত চিকিৎসক ও পুলিশবাহিনী মোতায়েন করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।