এক ৫৫ বছর বয়সী ব্যক্তির বিরুদ্ধে তারই সৎ কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা উঠে ছিল কোর্টে। গোরোগাঁও-র বাসিন্দা সেই ব্যক্তিকে এদিন ১০ বছরের জেলের সাজা দিয়েছে সেশন কোর্ট। উল্লেখ্য, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে তার নাবালিকা সৎ কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। এদিকে, আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্যে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির অপর মেয়েও এইডসে আক্রান্ত। আর তাদের দেখভালের কেউ নেই এই ৫৫ বছর বয়সী ব্যক্তি ছাড়া। পরিস্থিতি বিচার করে আদালত তাকে ১০ বছরের সাজা দিয়েছে।
এই মামলার অর্ডার পাশ হয়েছে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সালে। বিচারপতি এএ কুলকর্নি এই নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি কোর্টে এই মামলার রায় দেওয়ার সময় বলেন, ঘটনার শিকার ব্যক্তির নিজের বয়ান ও প্রমাণের ভিত্তিতে দেখা যাচ্ছে, অভিযুক্ত ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটিয়েছে। এদিকে, শুনানির সময় আদালতকে জানানো হয় যে, ওই ব্যক্তির অপর মেয়েও এইডসের শিকার। আর তাকে দেখাশোনার কেউ নেই। ফলে এই ঘটনা শোনার পর কোর্ট খানিকচা নরমভাবে এই মামলার রায় দেয়।
( মণিপুরে লুট হওয়া অস্ত্র ফেরাতে উদ্যোগ! ৭ দিনের ডেডলাইন সেট করে দিলেন রাজ্যপাল)
এই ধর্ষণের ঘটনার অভিযোগ গত ২০১৪ সালে দায়ের হয়েছিল মহারাষ্ট্রের আরে পুলিশ স্টেশনে। ঘটনার শিকার নাবালিকা অভিযোগে জানায়, ২০১৪ সালের ১৯ মে মাসে তার মা যখন কর্ণাটকে গিয়েছিল, তখনই তার সৎ বাবা মদ্যপ অবস্থায় ঘরে ঢুকে তাার ওপর চড়াও হয়। তাকে অত্যাচার করে। যৌন নির্যাতন করে বলে অভিযোগ। ঘটনা সেদিন মধ্যরাতের। একই ঘটনা ২০১৪ সালের মার্চেও ঘটতে যাচ্ছিল, তবে সেই দিন ওই নাবালিকার মা এসে তাকে রক্ষা করে। কিন্তু সেই সময় ওই ব্য়ক্তির বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে আসার সাহস পাননি নাবালিকার মা। কারণ আর্থিকভাবে তিনি ওই নাবালিকার সৎ বাবার উপরই নির্ভর ছিলেন। তবে দ্বিতীয় ঘটনার পর, সব কিছু সেই নাবালিকা তার শিক্ষিকাকে বলে। তারপরই পুলিশের কাছে আসে বিষয়টি। মামলা যায় কোর্টে। সদ্য সেই মামলায় রায় দিয়েছে কোর্ট।