আরও এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত ট্রাম্প ২.০ প্রশাসনের অঙ্গ হতে চলেছেন। এবার খবরে আমেরিকার অবস্থিত ভারতীয় বংশোদ্ভুত শ্রীরাম কৃষ্ণন। আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্সে হোয়াইট হাউসে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে অধিষ্ঠীত হতে চলা ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিনিয়ন উপদেষ্টার পদ পাচ্ছেন। এখ আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় খোদ ডোনাল্ড ট্রাম্প এই পদে শ্রীরাম কৃষ্ণনের নাম ঘোষণা করেছেন।
সদ্য করা ঘোষণায়, ট্রাম্প প্রশাসনের একগুচ্ছ পদে নিয়োগের কথা জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই ঘোষণার সময়ই তিনি শ্রীরাম কৃষ্ণনের নাম ঘোষণা করেন। এক এক্স পোস্টে ডোনাল্ড ট্রাম্প লেখেন,' শ্রীরাম কৃষ্ণন হোয়াইট হাউস অফিস অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি সংক্রান্ত নীতিতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্স (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) জন্য সিনিয়র নীতি উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করবেন।' এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই ডোনাল্ড ট্রাম্প ২.০ র টিমে আরও এক ভারতীয় বংশোদ্ভূতের এন্ট্রি হয়ে গেল। নিজের পোস্টে ট্রাম্প জানিয়েছেন,'ডেভিড স্যাক্সের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে, শ্রীরাম A.I.-তে আমেরিকান নেতৃত্ব অব্যাহত রাখার বিষয়ে ফোকাস করবেন এবং A.I. গঠন ও সমন্বয় করতে সাহায্য করবেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক প্রেসিডেন্ট উপদেষ্টা পরিষদের সাথে তিনি কাজ করবেন।'
ইলন মাস্কের আস্থাভাজন:-
জানা যাচ্ছে, মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের আস্থাভাজন এই শ্রীরাম কৃষ্ণন। মাস্ক ঘনিষ্ঠ এই ব্যক্তিকেই এবার মার্কিন আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্সের ক্ষেত্রে সিনিয়র উপদেষ্টা হিসাবে বেছে নিয়েছেন ট্রাম্প। কে এই শ্রীরাম কৃষ্ণন? দেখে নেওয়া যাক, তাঁর সম্পর্কে কিছু তথ্য।
কে শ্রীরাম কৃষ্ণন?
শ্রীরাম কৃষ্ণন সম্পর্কে জানা যাচ্ছে, তিনি তামিলনাড়ুর কাঞ্চিপুরমের কাট্টাঙ্ককুলাথুরের এসআরএম ভাল্লিমাই ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পড়ুয়া ছিলেন। তাঁর কেরিয়ার শুরু মাইক্রোসফ্ট দিয়ে। সেখানে তিনি ‘উইন্ডোজ অ্যাজিউর’ তৈরি করতে কাজ করেছেন। এর এপিআই ও পরিষেবার ক্ষেত্রে তিনি কাজ করেছেন। কৃষ্ণন একজন মার্কিনি ব্যবসায়ী। এছাড়াও তিনি ‘ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট’ ও লেখক হিসাবে পরিচিত। ‘উইন্ডোজ অ্যাজিউর ফর ও'রেইলি’ বইটির লেখক কৃষ্ণন। এককালে ফেসবুকেও কাজ করেছেন তিনি। ২০১৩ সালে তিনি ফেসবুকে যোগ দেন। ফেসবুকে মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোডের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। পরে স্ন্যাপে ও তারপর টুইটারে কাজ করেছেন কৃষ্ণন। ২০১৯ সাল পর্যন্ত টুইটারে কাজ করেছেন কৃষ্ণন। যে টুইটার পরে এক্স হয় ও তার মালিকানা যায় মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের হাতে। এই প্ল্যাটফর্ম নতুন করে তৈরি করায় তিনি ইলন মাস্ককে সহায়তা করেছেন বলে খবর। পরে Andreessen Horowitz-র জেনারেল পার্টনার হন কৃষ্ণন। পরে ২০২৩ সালে তিনি ফার্মের প্রথম ইন্টারন্যাশনাল অফিস লন্ডনে প্রতিষ্ঠা করেছেন। ভারতীয় ফিনটেক সংস্থা ক্রিডের সঙ্গেও জড়িত রয়েছেন কৃষ্ণন। স্ত্রী আরতির সঙ্গে তিনি একটি পডকাস্টও সম্প্রচার করেন। সব মিলিয়ে এই তাবড় ব্যক্তিত্ব এবার ট্রাম্প ২.০ প্রশাসনে।