দ্য কাশ্মীর ফাইলস সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই কাশ্মীরের পণ্ডিতদের গণহত্যা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। বহু বিজেপি শাসিত রাজ্যে সিনেমাটিকে করমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। আর এই সিনেমার প্রেক্ষিতেই কেরল কংগ্রেসের তরফে গতকাল বেশ কয়েকটি টুইট করা হয়েছিল। পরে অবশ্য তা মুছে ফেলে নত🎃ুন করে একটি টুইট করে কংগ্রেস। এই আবহে কেরল কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ভিডি সতীশন বলেন, ‘টুইটগুলোর বিষয়ে খতিয়ে দেখা হবে।’
দলের অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকে কাশ্মীরি পণ্ডিত ইস্যুতে টুইট করা হলেও সতীশন দাবি করেন, ‘এই ইস্যু সম্পর্কে✃ আমাদের কোনও ধারনা নেই। কেরল কংগ্রেস বা ইউডিএফ (ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট) কোনও প্ল্যাটফর্মে এই ফিল্মের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেনি... আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে বিষয়টি খতিয়ে দেখব। আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।’

উল্লেখ্য, এর আগে কংগ্রেসের তরফে টুইটে লেখা হয়, ‘সন্ত্রাসী হামলার পরে, পণ্ডি𓃲তদের নিরাপত্তা দেওয়ার পরিবর্তে, বিজেপির রাজ্যপাল জগমোহন তাদের জম্মুতে স্থানান্তরিত করতে বলেছিলেন। বিপুল সংখ্যক পণ্ডিত পরিবার নিরাপদ বোধ করেনি এবং ভয়ে উপত্যকা ছেড়ে চলে যায়।’ কংগ্রেসের তরফে টুইটে আরও দাবি করা হয়, ১৯৯০ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যꦍন্ত ১৭ বছরে ৩৯৯ জন কাশ্মীরি পণ্ডিত মারা যায় কিন্তু মুসলিম মারা যায় ১৫ হাজার। এই টুইটে আবার হ্যাশট্যাগ দেওয়া হয়েছিল ‘#KashmirFiles vs truth’।
কেরল কংগ্রেসের এই টুইট ঘিরে জোর বিতর্ক শুরু হয়। বিজেপি সাংসদ কেজে অলফোন্স দাবি করেন কংগ্রেস এই বিষয়ে কিছুই বোঝে না। তিনি বলেন, ‘কংগ্রেস ইতিহাস♈ বোঝে না... এবং তারা ইতিহাসকে ব্যাপকভাবে বিকৃত করেছে। কংগ্রেসের তত্ত্বাবধানে লক্ষাধি✃ক পণ্ডিত উপত্যকা ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিল।’ উল্লেখ্য, কংগ্রেসের তরফে এর আগে টুইটে দাবি করা হয়েছিল, বিজেপির সমর্থনে সেই সময় ভিপি সিং সরকার ছিল কেন্দ্রে। কিন্তু বিজেপি তখন কিছু না করে ভিপি সিংয়ের সরকারের প্রতি সমর্থন বজায় রেখেছিল।
এদিকে বিতর্কিত টুইটগুলি মুছে আজকে নতুন করে টুইট করে কেরল কংগ্রেস। তাতে লেখা, ‘আমরা কাশ্মীরি পণ্ডিত ইস্যু নিয়ে গতক🗹ালের টুইট থ্রেডের প্রতিটি সত্যের পাশে দাঁড়িয়ে আছি। তবে আমরা থ্রেডের একটি অংশ মুছে ফেলেছি। আমরা দেখতে পেরেছি যে বিজেপির ঘৃণার কারখানা এটিকে প্রেক্ষাপটের বাইরে নিয়ে গিয়ে তাদের সাম্প্রদায়িক প্রচারের জন্য তা ব্যবহার করছে। আমরা সত্য কথা বলতে থাকব।’