ফেসবুকের মূল সংস্থা মেটা ভয়ঙ্কর আশঙ্কা ও উদ্বেগের খবর শোনালেও ইজরায়েলি স্পাইওয়্যার নিয়ে ভারতীয় হোয়াট্সঅ্যাপ ইউজার বা গ্রাহকদের এখনও পর্যন্ত অন্তত দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই𝄹। হিন্দুস্তান টাইমস-এর কাছে এই দাবি করেছে ঘটনা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল একটি সূত্র।
উল্লেখ্য, একদিন আগেই মেটা-র পক্ষ থেকে দাবি বা💟 অভিযোগ করা হয়, প্রায় ১০০ জন হোয়াট্সঅ্যাপ ইউজারের অ্যাকাউন্টে হানা দিয়ে থাকতে পারে অত্যাধুনিক একটি স্পাইওয়্যার। যার নাম - গ্রাফাইট। এই স্পা♑ইওয়্যারের স্রষ্টা ইজরায়েলের সংস্থা প্যারাগন সলিউশন।
মেটা-র পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, যাঁদের হোয়াট্সঅ্যাপ অ্যাকাউন্টে এই স্পাইওয়্যার হামলা চালিয়ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚ🧸ᩚেছে, তাঁরা মূলত সাংবাদিক এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি। যদিও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, 'এই ঘটনায় কোনও ভারতীয় ইউজার আক্রান্ত বা ক্ষতিগ্রস্ত হননি।'
ইতিমধ্য়েই হোয়াট্সঅ্যাপ দাবি করেছে, প্যারাগন🧸 তাদের স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে যে হানা চালিয়েছিল, তা তারা ব্যাহত করতে সক্ষম হয়েছে। একইসঙ্গে হোয়াট্সঅ্য়াপ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য হল, এই ধরনের ঘটনা যে সংস্থাগুলি ঘটাচ্ছে, তাদের উপর এর আইনি দায়ভার যাওয়া উচিত। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ঘটনাটিকে উদাহরণ হিসাবেও তুলে ধরার দাবি জানিয়েছে হোয়াট্সঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ।
হোয়াট্সঅ্যাপ-এর এক মুখপাত্র একটি বিবৃতি প্রকাশ করে এই প্রসঙ্গে বলেন, 'হোয়াটসঅ্যাপ প্যারাগনের একটি স্পাইওয়্যারের কাজে ব্যাঘাত ঘটিয়েছে। এই স্পাইওয়্যারটি সাংবাদিক এবং নাগরিক সমাজের সদস্য-সহ বেশ কয়েকজন ইউজারকে নিশানা করে এই হা🧜না চালিয়েছিল। আমরা সরাসরি সেইসব ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, যাঁরা এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে আ🍌মরা মনে করি।'
ওই মুখপাত্র আরও বলেন, '🔥স্পাইওয়্যার নির্মাণকারী সংস্থাগুলির কেন তাদের বেআইনি কাজের জন্য জবাবদিহি করা দরকার, কেন সেটা জরুরি, তা 🐠এই ঘটনা থেকেই স্পষ্ট। বস্তুত, এই ঘটনা তার সর্বশেষ উদাহরণ। হোয়াট্সঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ তাদের ইউজারদের ব্যক্তিগত যোগাযোগ ক্ষমতা সুরক্ষিত রাখার কাজ অব্যাহত রাখবে।'
এর আগে, ব্রিটিশ দৈনিক সংবাদপত্র দ🐬্য গার্ডিয়ান তাদের একটি প্রতিবেদনে হোয়াট্সঅ্যাপকে উদ্ধৃত করে লিখেছিল, তারা নিশ্চিত যে তাদের অন্তত ৯০ জন ইউজারের অ্য়াকাউন্ট নিশানা (সম্ভবত) করা হয়েছে।
হোয়াট্সঅ্যাপ আরও জানিয়েছে, তারা ইতিমধ্য়েই প্যারাগনকে একটি চিঠি পাঠিয়ে এই ধরনের কর্মকাণ্ড না করার নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি, এই ঘটনায় কী ধরনের আই𓄧নি পদক্ষেপ করা যায়, তা নিয়েও খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেছে হোয়াট্সঅ্য়াপ কর্তৃপক্ষ।
হোয়াট্সঅ্য়াপের দাবি, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে তারা এই স্পাইওয়্যার হামলা প্রতিহত করেছিল। কিন্তু, কতক্ষণ ধরে তার ইউজাররা ওই স্পাইওয়্যার হামলার🐲 অধীনে ছিল, সেই বিষয়ে তারা নিশ্চিত নয়♈।
তথ্যাভিজ্ঞ মহল বলছে, এর আগে পেগাসাস নামে যে ইজরায়েলি স্পা𝓰ইওয়্যার নিয়ে সারা বিশ্বে হইচই পড়ে গিয়েছিল, তার সঙ্গে এই গ্রাফাইট স্পাইওয়্যারের কর্মকাণ্ড ও ধরনের যথেষ্ট মিল রয়েছে।