প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও আলিপুরদুয়ারের সভা থেকে মুর্শিদাবাদের হিংসার প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূলকে একহাত নিয়েছিলেন। কার্যত তিনি যেখানে শেষ করেছিলেন সেখান থেকে রবিবার শুরু করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
নেতাজি ইন্ডোরের সভা থেকে সরাসরি মুর্শিদাবাদের হিংসা প্রসঙ্গ তোলেন অমিত শাহ।
তিনি বলেন, 'মুর্শিদাবাদে হিংসা হয়েছিল। আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বলতে বলতে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছে যে বিএসএফকে ডাকুন। বিএসএফ এলে হিন্দুদের রক্ষা করা সম্ভব হবে। আমাদের কার্যকর্তারা হাইকোর্টে যান। হাইকোর্টের নির্দেশে বিএসএফ এসেছিল। হিন্দুদের বাঁচানোর কাজ করেছিল। মমতাজী আপনার নেতা বিএসএফকে গালি দিয়েছে। আপনার নেতা হিংসায় মদত দিয়েছে। আমার এটা বলতে দ্বিধা নেই যে যেভাবে বাংলার সরকারের মন্ত্রী এই দাঙ্গায় শামিল ছিলেন এটা স্টেট স্পনসর্ড দাঙ্গা ছিল।' বলেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, মুসলিম তোষণের সব সীমা পেরিয়ে গিয়েছেন মমতা দিদি। তিনি বলেন 'মোদীজি যে ওয়াকফ আইন এনেছেন সেটা চান নাকি চান না?… পুরো বাংলা চায় ওয়াকফ ভালো করে চলুক।'
অমিত শাহ বলেন, ২০২৬ সালের ভোটে শেকড় ধরে উপড়ে তুলে দেব এই সরকারকে। একজন মহিলা মুখ্য়মন্ত্রীর জমানায় আরজিকরের মতো ঘটনা হয়। সন্দেশখালির মূল অভিযুক্ত কোন দলের সঙ্গে যুক্ত? প্রশ্ন করেন অমিত শাহ।
সম্প্রতি আলিপুরদুয়ারের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, ‘মুর্শিদাবাদে যা হয়েছে, মালদায় যা হয়েছে, তা এখানকার সরকারের নির্মমতার উদাহরণ। হিংসায় গরিব মা-বোনেদের সারাজীবনের পুঁজি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তোষামদের নামে গুন্ডাদের ফ্রি-হ্যান্ড দেওয়া হয়েছে।’ মোদী আরও বলেছিলেন, ‘যখন সরকার চালানো দলের লোক, বিধায়কই সাধারণ মানুষের বাড়ি চিহ্নিত করে জ্বালিয়ে দেন, আর পুলিশ দাঁড়িয়ে-দাঁড়িয়ে তামাশা দেখে, তখন অনুমান করা যায় যে অবস্থা কতটা ভয়াবহ।’
আর রবিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ স্পষ্টতই জানিয়ে দেন মুর্শিদাবাদের হিংসা ছিল স্টেট স্পনসর্ড। এমনকী তৃণমূলের মন্ত্রী এই হিংসায় শামিল হয়েছিলেন বলে দাবি অমিত শাহের।
তবে এনিয়ে তৃণমূল কী জবাব দেয় সেটাই দেখার। প্রসঙ্গত সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের একাধিক বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই সঙ্গেই চলে লুঠপাট। ওয়াকফ আইনের বিরোধিতার নাম করে ভয়াবহ হিংসা ছড়িয়েছিল মুর্শিদাবাদে। হিংসায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে বিজেপির একের পর এক নেতৃত্ব গিয়েছিলেন মুর্শিদাবাদে। আর এবার ২০২৬ সালের ভোটের আগে বাংলায় এসেই মুর্শিদাবাদ হিংসা নিয়ে সরাসরি তৃণমূলকে নিশানা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।