কোয়ালিফায়ার ওয়ানে হেরে পঞ্জাব কিংস যেমন কোয়ালিয়াফার ২ খেলতে এসেছে। তেমনই এলিমিনেটরে জিতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সও এসেছে কোয়ালিফায়ার ২ খেলতে। ফলে মুম্বই স্বাভাবিকভাবেই জয়ের মোমেন্টামের মধ্যে রয়েছে, যেটা পঞ্জাব কিংসের সঙ্গে নেই। ফলে কাজটা সামান্য হলেও কঠিন হতে চলেছে শ্রেয়স আইয়ারের দলের কাছে। একটা সময় পর্যন্ত এলিমিনেটর ম্যাচে এগিয়ে ছিল গুজরাট টাইটান্সই। কিন্তু মুম্বইয়ের তারকা পেসার জসপ্রীত বুমরাহ ওভারটাই দুই দলের মধ্যে বিস্তর পার্থক্য গড়ে দেয়। কারণ বুমরাহর বলে হিট করতে না পারায় শেরফান রাদারফোর্ড, রাহুল তেওয়াতিয়ারা আর সেভাবে অশ্বিনী কুমার বা রিচার্ড গ্লিসানদের ওভার থেকে রান তুলে ম্যাচ জেতাতে পারেননি। কারণটাও স্বাভাবিক, ২০০র ওপর টার্গেট চেজ করতে নেমে যদি বুমরাহ ওভার থেকে মাত্র ৫-৬ রান করে ওঠে, তাহলে ওত রান চেজ করা জেতা কঠিন।
এমনিতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বোলিং ভালোই হয়েছে, কারণ বুমরাহই দায়িত্ব নিয়ে সবার ঘাটতি গুলো ঢেকে দিয়েছেন। যদিও পঞ্জাব কিংস ম্যাচের আগে প্রাক্তন ভারতীয় স্পিনার মুরলি কার্তিক মুম্বইয়ের জন্য সতর্কবাণি শুনিয়েছেন। মানে তিনি হার্দিক-জয়বর্ধনেদের একটা সিদ্ধান্তে ঠিক খুশি হতে পারছেন না। সেটা হল স্পিনার কর্ণ শর্মাকে বসিয়ে রাখার সিদ্ধান্তে। যিনি আইপিএলে খুব বেশি এবারে সুযোগ না পেলেও, যেই যেই ম্যাচে সুযোগ পেয়েছেন দাগ কেটেছেন। এর মধ্যে রয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস ম্যাচও, যেই ম্যাচে ৩৬ রানে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে মুম্বইকে জিতিয়েছিলেন কর্ণ। বলা যায় সেই ম্যাচের পর থেকেই আর MI-কে পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি।
তাই কর্ণ শর্মাকে নিয়েই মুরলি কার্তি বলছেন, ‘যেভাবে রিচার্ড গ্লিসন আগের ম্যাচের শেষ ওভারে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেল, তারপর জানি না ও আদৌ ফিট কিনা বা ওকে আদৌ রবিবারের ম্যাচে খেলা যাবে কিনা। তবে আমার মনে হয় কর্ণ শর্মা ভালো বোলিং করছিল, কিন্তু হঠাৎ করেই ওকে পুরো বসিয়ে দেওয়া হল, ওকে ব্রাত্য করা হচ্ছে। এর আগে স্যান্টনার বসেছিল, আর কর্ণ খেলছিল। এখন স্যান্টনার খেলছে আর ওকে বসে থাকতে হচ্ছে। মুম্বই চাইবে দিপক চাহারও ফিট হয়ে উঠুক যাতে পুরনো কম্বিনেশনেই খেলতে পারে। আশা করব বেয়ারস্টো এই ম্যাচেও রান পাবে, আর চাহার যদি ফিট থাকে তাহলে ওদের বোলিংয়ের আত্মবিশ্বাস আরও বাড়বে ’।