পরিবহণের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত তাঁদের নানা অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু পরিবহণ দফতরে নানা অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও কোনও লাভ হচ্ছিল না বলে অভিযোগ। তাই ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ পোর্টালে ফোন করে পরিবহণ ব্যবস্থা নিয়ে একাধিক অভিযোগ জমা করেন তাঁরা। এবার সেই অভিযোগের কথা জানতে পেরে পরিবহণ দফতরকে কড়া ভাষায় সতর্ক করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তারপরই সমস্যাগুলির দ্রুত সমাধান করতে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করলেন পরিবহণ দফতরের সচিব সৌমিত্র মোহন। এই নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে, পরিবহণ দফতরের নোডাল অফিসারদের নিয়মিত অভিযোগ গ্রহণ করতে হবে এবং তা দফতরে পাঠাতে হবে।
গতবছর ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ কর্মসূচি শুরু হলেও এখনও তাতেই ভরসা করেন বাংলার মানুষজন। সেখানে বঙ্গবাসী নিজেদের অভিযোগ জানাতে পারেন। এই ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ নম্বরেই পরিবহণ ব্যবস্থা নিয়ে বহু অভিযোগ জমা পড়েছে। আর তা কানে গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর বলে সূত্রের খবর। এমনকী এই নিয়ে কদিন আগে নবান্নে একটি বৈঠকও হয়। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী, পরিবহণ দফতরের প্রতিমন্ত্রী দিলীপ মণ্ডল, কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, কলকাতা পুলিশের অফিসাররা। ওই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী একাধিক পরামর্শ দেন। তার পরেই পরিবহণ সচিব সৌমিত্র মোহনের এই নির্দেশিকা।
আরও পড়ুন: ‘রাম–বাম প্রমাণ লোপাট করতে গিয়েছিল’, আরজি কর কাণ্ডে কাঠগড়ায় তুললেন মমতা
এমনিতেই বেসরকারি বাস রাস্তায় কমেছে। কারণ সেগুলি ১৫ বছরের পুরনো হয়ে গিয়েছে। তার উপর পেট্রপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে। তাই বাস চালানো নিয়ে নানা সমস্যা হচ্ছে বাস মালিকদের। আর আজ, শুক্রবার নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, নোডাল অফিসাররাই সমস্ত অভিযোগ যাচাই করার দায়িত্বে থাকবেন। রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট অফিস (আরটিও) পরিবহণ নিয়ে নানা অভিযোগ গ্রহণ করে সেগুলি মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে পাঠিয়ে দেবেন। প্রয়োজনে নিজেদের মতামতও সেখানে দেবেন। মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখার পর নোডাল অফিসার তা আরটিও এবং অ্যাসিসট্যান্ট রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট অফিসকে পাঠাবে।