অনেক সময়ই দেখা যায় প্রত্যন্ত এলাকা থেকে হাসপাতাল পর্যন্ত রোগীকে পৌঁছনো সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু তার চিকিৎসার প্রয়োজন। আবার রোগীর কী হয়েছে সেটা বোঝা যাচ্ছে না। আর গ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় চিকিৎসক পৌঁছতে পারেন না। এই নানা সমস্যা থেকে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকার মানুষজনকে মুক্তি দিতে এবার তাঁদের কাছে স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দিতে চলেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতর। রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যৌথ উদ্যোগে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকায় লঞ্চের মাধ্যমে জলপথে ভাসমান অবস্থায় স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এই বিষয় নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু🧜 হয়েছে।
তবে এটা হবে এমন বিষয় নয়। ইতিমধ্যেই তার খানিকটা পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে। কদিন আগে বসিরহাট মহকুমার অন্তর্গত হিঙ্গলগঞ্জ♑ ব্লকের আমবেড়িয়া–সহ একাধিক প্রত্যন্ত গ্রামে লঞ্চে করে পৌঁছে যান চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা। তারপর প্রত্যন্ত গ্রামে পৌঁছে চিকিৎসা পরিষেবা দিয়েছেন ওই এলাকার গরিব মানুষজনদের। এই পরিষেবা পেয়ে অত্যন্ত খুশি সুন্দরবন এলাকার মানুষ। কারণ আগে তাঁদের কষ্ট করে লঞ্চে চেপে আসতে হতো হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরাই আসছেন দুয়ারে। সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া চ্যালেঞ্জের।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীকে চাকরি ফেরানোর সময় বেঁধে দিলেন শিক্ষকরা, সব্যসাচীকে ঘিরে ‘চোর’ স্লোগান
একদিকে বাঘের ভয় অপরদিকে কুমিরের ভয় রয়েছে। এই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করে কেন্দ্রীয় সরকার বিশেষ লঞ্চের ব্যবস্থা করেছে। যাতে রাজ্য সরকারের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী এবং প্রাথমিক চিকিৎসার যাবতীয় সামগ্রী–সহ একটি চলমান ক্লিনিক গড়ে তোলা যায়। আর এটা পাকাপাকিভাবে হলে সুন্দরবন এলাকার মানুষজনকে চিন্তা করতে হবে না। এই বিষয়ে হিঙ্গলগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির বনভূমি কর্মাধ্যক্ষ সুরজিৎ বর্মণ বলেন, ‘এই উদ্যোগ গ্রামীণ ♓ও নদীবেষ্টিত দুর্গম এলাকায় চিকিৎসা পরিষেবার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।’