সারা দেশে দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। সিবিএসই এবং রাজ্য বোর্ডের ফলাফল একে একে এসে গিয়েছে। ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজস্থান রয়্যালসের কিশোর ব্যাটার বৈভব সূর্যবংশীর ফলাফলেরও খবর এসেছে, সে বোর্ড পরীক্ষায় ফেল করেছে বলে জানা গিয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, বৈভব সূর্যবংশী সিবিএসই বোর্ড থেকে দশম শ্রেণীর পরীক্ষা দিয়েছিল এবং সেই পরীক্ষায় সে ফেল করেছে। যা নিয়ে বেশ চর্চাও শুরু হয়েছে। ২২ গজের হিরো তবে পড়াশোনায় জিরো? কিন্তু এই খবরের কতটা সত্যতা আছে, সেটা বের করাটাও জরুরি।
বৈভব সূর্যবংশী কি বোর্ড পরীক্ষায় ফেল করেছে?
সোশ্যাল মিডিয়ায় বৈভব সূর্যবংশীর ব্যর্থতার খবর নিয়ে রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে। বৈভব এখন আইপিএলের হিরো। ১৪ বছর বয়সেই সে ব্যাট হাতে নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। যে কারণে তার যে কোনও ব্যাপারে বেশি চর্চা চলবে, এটাই স্বাভাবিক। যাইহোক আসল খবরটা একেবারে আলাদা। এখানে বৈভবের ফেল করার কোনও বিষয়ই নেই। অর্থাৎ, বৈভব সূর্যবংশী বোর্ড পরীক্ষায় ফেল করেনি। তাহলে সে কি পরীক্ষায় পাশ করেছে? না, ব্যাপারটা সেরকমও নয়। কারণ পাস বা ফেলের প্রশ্ন তখনই উঠবে, যখন সে পরীক্ষা দেবে। এখন প্রশ্ন হল, খবরটা আসলে কী ছিল? কারণ, আগুন ছাড়া, ধোঁয়া ছড়ায় না।
এটা খবর নয়, এটা একটা কৌতুক
দশম শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষায় বৈভব সূর্যবংশীর ফেল করার খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় যেভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, তা আসলে একটি কৌতুক। এতে সত্য বলে কিছু নেই। এতে বলা হয়েছে যে, ১৪ বছর বয়সী বৈভব সূর্যবংশী তার দশম শ্রেণীর সিবিএসই বোর্ড পরীক্ষায় ফেল করার পর, বিসিসিআই তার উত্তরপত্রের ডিআরএস স্টাইল পর্যালোচনার অনুরোধ করেছে।
বৈভব দশম শ্রেণীর ছাত্রও নয়
আসল কথা হল, বৈভব সূর্যবংশী এখনও দশম শ্রেণীর ছাত্র নয়। সে সবে নবম শ্রেণীতে পড়ে। মানে তার বোর্ড পরীক্ষার জন্য এখনও সময় আছে। এতে সত্য বলে কিছু নেই। ১৪ বছর বয়সী সূর্যবংশী ২০২৫ সালের আইপিএলে ৩৫ বলে সেঞ্চুরি করে আলোচনাযর কেন্দ্রে উঠে আসে। সেই ইনিংসে তিনি ১১টি ছক্কা মেরেছিল। বৈভব সূর্যবংশী টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সবচেয়ে কম বয়সী সেঞ্চুরি করা ব্যাটসম্যান হওয়ার বিশ্ব রেকর্ড করেছে।