টিম ইন্ডিয়ার প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীরকে হত্যার হুমকির মামলাটি পুলিশ ইতিমধ্যে সমাধান করে ফেলেছে। এই মামলায় দিল্লি পুলিশ গুজরাট থেকে একজনকে গ্রেফতারও করেছে। ভারতীয় দলের প্রাক্তন কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান এবং বর্তমান কোচ গৌতম গম্ভীর সম্প্রতি একটি হুমকি ইমেল পেয়েছিলেন, যার পরে পুলিশ একটি মামলা দায়ের করে। গম্ভীর এই হুমকিটি পেয়েছিলেন ঠিক সেই দিনই, যেদিন সন্ত্রাসবাদীরা পহেলগাঁও-এ ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছিল এবং ২৬ জন পর্যটককে হত্যা করেছিল।
পহেলগাঁও হামলার দিনই হুমকি পেয়েছিলেন গৌতি
গৌতম গম্ভীর, যিনি বর্তমানে আইপিএল ২০২৫ এর কারণে বিরতিতে আছেন, ২৪ এপ্রিল দিল্লি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন যে, তিনি দু'টি ইমেল পেয়েছেন, যেখানে তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। মধ্য দিল্লির রাজেন্দ্র নগরে বসবাসকারী গম্ভীর এখানকার থানায় একটি এফআইআর দায়ের করেছিলেন এবং বলেছিলেন যে, তিনি ২২ এপ্রিল বিকেল এবং সন্ধ্যার সময়ে দু'টি ইমেল পেয়েছিলেন। দু'টিতেই লেখা ছিল- ‘আই কিল ইউ’। এর অর্থ হল, ‘আমি তোমাকে মেরে ফেলব’। হুমকি দেওয়া ব্যক্তি নিজেকে আইসিস কাশ্মীরের অংশ বলে দাবি করেছিলেন।
গুজরাটের ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র গ্রেফতার
গম্ভীর এই হুমকি এমন এক সময়ে পেয়েছিলেন, যখন একই দিনে জম্মু ও কাশ্মীরের বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র পহেলগাঁও-তে সন্ত্রাসবাদীরা ২৬ জন পর্যটককে বেছে বেছে হত্যা করেছিল। স্বাভাবিক ভাবেই পুলিশ আরও বেশি তৎপর হন। টিম ইন্ডিয়ার প্রধান কোচ এবং প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ গম্ভীর এই ভয়াবহ হুমকি পাওয়ার পর পুলিশের দ্বারস্থ হতেই, দিল্লি পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। যার ফলে শনিবারই (২৬শে এপ্রিল) সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্ট পুলিশ গুজরাট থেকে এক জনকে গ্রেফতার করে। সংবাদ সংস্থা এএনআই দিল্লি পুলিশকে কোট করে জানিয়েছে যে, গম্ভীরকে হুমকিমূলক ইমেল পাঠানো ব্যক্তির নাম জিগনেশ সিং পারমার। তাঁকে শনাক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সামনে দুর্গম গিরি, তবু IPL 2025-এর প্লে-অফে এখনও উঠতে পারে CSK, জেনে নিন কোন সমীকরণে
পরিবারের দাবি, ছেলে মানসিক রোগে ভুগছে
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ২১ বছর বয়সী জিগনেশ সিং গুজরাটের বাসিন্দা এবং একজন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র। পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে, এর পর তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এদিকে এই ঘটনায় জড়িত যাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ, সেই ছাত্রের পরিবার দাবি করেছে যে, সেই ব্যক্তি মানসিক রোগে ভুগছেন। দিল্লি পুলিশ অবশ্য বর্তমানে এই বিষয়ে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।