আইপিএল ২০২৫ মরশুমে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু দুরন্ত ছন্দে রয়েছে। তারা ১০ ম্যাচের মধ্যে ৭টিতেই জয় পয়েছে। এই মুহূর্তে পয়েন্ট টেবলের শীর্ষে রয়েছে আরসিবি। রজত পাতিদারের নেতৃত্বে, আরসিবি এই মরশুমে অনেক রেকর্ডও করেছে। এই পরিস্থিতিতে, টিম ম্যানেজমেন্ট দলের চোটগ্রস্ত খেলোয়াড়দের ব্যাপারেও খুবই সতর্ক হয়ে রয়েছে। আহত প্লেয়ারদের ক্যারিয়ার যাতে ঝুঁকির মুখে না পড়ে, সেই জন্য তারা উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা বন্দোবস্ত করেছে। আরসিবি-র তরুণ স্পিনার এই তথ্য প্রকাশ করেছেন, যিনি গত দুই বছর ধরে চোট সমস্যায় ভুগছিলেন এবং যে চোটের কারণে তাঁর ক্যারিয়ার ঝুঁকির মধ্যে ছিল।
বড় দাবি করলেন আরসিবি-র স্পিনার
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর তরুণ স্পিনার সুয়াশ শর্মা গত দুই বছর ধরে হার্নিয়ার ব্যথায় ভুগছিলেন। ইঞ্জেকশন নিয়ে তিনি খেলতে নামতেন। একটা সময়ে তাঁর ক্যারিয়ার ঝুঁকির মুখে পড়েছিল। কিন্তু আরসিবি ম্যানেজমেন্ট তাঁর ভালো চিকিৎসা ব্যবস্থা করে। তাঁর অস্ত্রোপচার করায়। এবং সুয়াশ সব ঝুঁকি কাটিয়ে পুরো সুস্থ হয়ে আরসিবি-র হয়ে এখন খেলছেন।
আরসিবি তাদের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে একটি ভিডিয়ে পোস্ট করেছে, সেই ভিডিয়োতে সুয়াশ শর্মাকে বলতে শোনা গিয়েছে যে, ‘আমি ব্যথা নিয়েই খেলতে অভ্যস্ত ছিলাম। সমস্যা হল, ভারত বা কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেললে, সামলে নেওয়া যায় সবটা। কিন্তু যখন খেলছিলাম না, তখন থেকেই আমি চোট ছিল। তখন আমি কিছুই জানতাম না। তবে আরসিবি আমার উপর অনেক আস্থা দেখিয়েছে এবং তারা আমার উপর অনেক বিনিয়োগ করেছে। আমার অস্ত্রোপচার এবং সব কিছু পরিচালনা করেছে। এখন আমি সম্পূর্ণ সুস্থ।’
আরও পড়ুন: বড় ধাক্কা খেল MI, IPL থেকেই ছিটকে গেল তাদের চায়নাম্যান বোলার, বদলিও খুঁজে নিল মুম্বই
তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘আমি গত দুই বছর ধরে ব্যথায় ভুগছিলাম। আমি ইঞ্জেকশন নিতাম এবং খেলতাম। আমার কী সমস্যা ছিল, ভারতে থাকার সময়ে তা আমি জানতে পারতাম না। তার পর আরসিবি আমাকে অস্ত্রোপচারের জন্য লন্ডনে পাঠায়। সেখানে আমি জেমস পাইপের (আরসিবি ফিজিও) সঙ্গে দেখা করি। তিনি এবং তাঁর পরিবার আমাকে আপন করে নেয়। আমার তিনটি হার্নিয়া ছিল। যাইহোক প্রথম ম্যাচটা খেলার আশা করিনি। আমাকে বলা হয়েছিল যে, তুমি ৩-৪ ম্যাচের পরে খেলবে, কারণ এটি একটি বড় অস্ত্রোপচার ছিল। কিন্তু পাইপ যেভাবে আমার যত্ন নিয়েছে, আমি এই ফ্র্যাঞ্চাইজিতে আসার জন্য খুবই কৃতজ্ঞ।’