Moeen Ali on Virat Kohli's retirement: ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অলরাউন্ডার মইন আলি ভারতের তারকা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলির টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘটনাকে ‘টেস্ট ফরম্যাটের জন্য বিশাল ক্🅺ষতি’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ৩৬ বছর বয়সি বিরাট টেস্ট ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন, দর্শকদের মাঠে টেনেছেন এবং প্রতিযোগিতায় প্রাণ এনে দিয়েছিলেন।
আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৫-২৭-এর যাত্রা শুরুর আগে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ সামনে রেখে, বিরাট হঠাৎই টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা করে ক্রিকেট বিশ্বকে চমকে দেন। এর মাধ্যমে ১৪ বছরের দীর্ঘ,꧟ ১২৩ ম্যাচের এক মহাকাব্যিক কেরিয়ারের ইতি টানেন তিনি।
স্কাই স্পোর্টসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ম𝕴ইন আলি বলেন, ‘এটা টেস্ট ক্রিকেটের জন্য বিশাল একটা ক্ষতি। বিরাটই ছিলেন সেই একজন, যিনি সবসময় টেস্ট ফরম্যাটকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। তিনি খেলাটির জন্য, বিশেষ করে ভারতে, অনেক কিছু করেছেন। আমি মনে করি, সচিনের পর তিনিই সেই খেলোয়াড়, যাকে সকলে দেখতে মাঠে আসতো। তিনি স্টেডিয়াম পূর্ণ করতেন।’
আরও পড়ুন … ব্রুকের 𓃲সামনে বড় পরীক্ষা! ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের ODI ও T20I সিরিজের দল ঘোষণা
বিরাটের নেতৃত্ব ও প্রতিযোগিতামূলক মানস♛িকতার ভূয়সী প্রশংসা করে মইন আরও বলেন, ‘তাঁর রেকর্ড অসাধারণ, তিনি দারুণ উপভোগ্য একজন ব্যাটার ছিলেন — ভীষণ প্রতিযোগিতামূলক এবং দুর্দান্ত অধিনায়ক♔। তাঁর খেলার স্টাইল অনেককে অনুপ্রাণিত করেছে। এটি কেবল ভারতের জন্য নয়, গোটা খেলাটির জন্য বড় ক্ষতি।’
তবে রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলিকে হারানো ভারতীয় দলের জন্য যেখানে ক্ষতির বিষয়, সেখানে এটি ইংল্যান্ডের জন্য একটি ‘বড় সুবিধা’ বলেও মন্তব্য করেন মইন। তিনি বলেন, ‘দ🔯ুইজন শীর্ষস্থানীয় খেলোয়াড়, যারা ইংল্যান্ডে একাধিকবার সফরে গেছেন এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। আমি মনে করি, গত সফরে রোহিত দারুণ খেলেছিলেন। তাদের ব্যক্তিত্ব, নেতৃত্বগুণ — দু’জনই ভারতের টেস্ট অধিনায়ক ছিলেন — কাজেই এটি ভারতীয় দলের জন্য বিরাট ক্ষতি।’
আরও পড়ুন … ইংল্যান্ড সফরে ভারত ‘এ’ দলে যশস্বী, ইশান! চো🧸টের কারণে বাদ পড়তে পারেন RC𓆉B তারকা– রিপোর্ট
টেস্ট কেরিয়ারে বিরাট কোহলি:
ম্যাচ: ১২৩
রান: ৯,২৩০
গড়: ৪৬.৮৫
সেঞ্চুরি: ৩০
হাফসেঞ্চুরি: ৩১
সর্বোচ্চ ইনিংস: ২৫৪*
ভারতের পক্ষে চতুর্থ সর্বোচ্চ রান🦹 সংগ্রাহক, সচিন তেন্ডুলকর (১৫,৯২১), রাহুল দ্রাবিড় (১৩,২৬৫) ও সুনীল গাভাসকর (১০,১২২)-এর পরে।
বিরাট কোহলি ২০১১ সালের জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্ট অভিষেক করেন। যদিও প্রথম টেস্ট সফর ছিল ব্যর্থ (৫ ইনিংসে মাত্র ৭৬ রান), ২০১২ সালে অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১১৬ রানের ইনিংস দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করেন। ঐ সিরিজে তিনিই ছিলেন ভারতের সর্বোচ্চ রꦯান সংগ্রাহক (৪ টেস্টে ৩০০ রান), যেখানে অন্য সব তারকারা ব্যর্ꦚথ হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন … ওকে ছ🦩াড়া অন্য কাউকে টেস্ট অধিনায়ক হিসাবে ভাবা যায় না… 🌳কিংবদন্তিদের প্রথম পছন্দ কে?
পারফরম্যান্স পর্বভিত্তিক বিভাজন:
২০১১-২০১৫:🍌 ৪১ টেস্টে ২,৯৯৪ রা⭕ন, গড় ৪৪.০৩, ১১ সেঞ্চুরি
২০১৬-২০১৯: ඣ৪৩ টেস্টে ৪,২০৮ রান, গড় ৬৬.৭৯, ১৬ সেঞ্চুরি — এই সময়ে সাতটি ডাবল সেঞ্চুরি, টেস্টে অধিনায়ক হিসেবে সর্বোচ্চ
২০২০-এর দশক: ৩৯ ไটেস্টে ২,০২৮ রান, গড় ৩০.৭২, ৩ সেঞ্চুরি
২০২৩ সালে তাঁর ফর্ম কিছুটা ফিরলেও (৮ টেস্টে ৬৭১ রান, গড় ৫৫.৯১), ২০২৪ সালে ফের খারাপ সময়🧜ে পড়েন (১০ টেস্টে ৩৮২ রান, গড় ২২.৪৭)। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ টেস্ট সিরিজে (নভেম্বর-জানুয়ারি) ৯ ইনিংসে মাত্র ১৯০ রান করেন, তবে পার্থে একটি সেঞ্চুরি করেন, যা ছিল ২০২৩ সালের জুলাইয়ের পর প্রথম সেঞ্চুরি।
বিরাট কোহলি টেস্ট ক্রিকেটে তাঁর দক্ষতা, নেতৃত্ব 𒉰এবং আবেগ দিয়ে একটি যুগের স💯মাপ্তি করলেন। টেস্টে বিরাটের অবদান ক্রিকেট ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।